সিলেট বিকেএসপিতে মাত্র একটি খেলা!

সিলেট বিকেএসপির প্রবেশদ্বারশহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে সিলেট বিকেএসপির অবস্থান। ১৩ একর আয়তনের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ চমৎকার। কোলাহল নেই, চারদিকে নীরবতা। অথচ শুধু ফুটবল নিয়ে কোনও রকমে চলছে সিলেট বিকেএসপি।

শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অধীনে ছিল। ২০১২ সালের ১৪ জানুয়ারি বাফুফে বরাদ্দ পেলেও ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর আবার বিকেএসপির অধীনে চলে আসে এই প্রতিষ্ঠান। ফিফার অর্থায়নে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ ফুটবল একাডেমি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একাডেমি করতে পারেনি বাফুফে। দুই বছর আগে শুধু ফুটবল নিয়ে শুরু করলেও প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম একেবারেই ধীর।

সুইমিং পুলের বেহাল দশা৩৩ জন নিয়ে শুরু করা সিলেট বিকেএসপিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ জন। ২০১৭ সালের এপ্রিলে সপ্তম শ্রেণির আবাসিক কার্যক্রম শুরু হয়। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা হতাশাজনক। ভালো মাঠের অভাব তো আছেই, জিম-সুইমিং পুল সহ অন্যান্য সুবিধা থেকেও শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত। কোচ মাত্র দুজন। একজন ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক হিসেবে পুরো সংস্থাটির দায়িত্বে। অন্যজন প্রকল্পের অধীনে সরাসরি কোচ হিসেবে আছেন।

নিজেদের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শাহীনুল হক বলেছেন, ‘আমি উপ-পরিচালক হিসেবে থাকলেও প্রশিক্ষণের জন্য সময় দেই। তবে আরও কোচের প্রয়োজন আছে। আমাদের সব কিছুই এখন প্রক্রিয়াধীন। আস্তে-আস্তে সব কিছু হবে, হয়তো একটু সময় লাগবে।’

জিমন্যাসিয়াম ভবন নিয়েও আছে হতাশাজিমের জন্য আলাদা বিল্ডিং আর সুইমিং পুল নির্মাণ করা হলেও দুটোর অবস্থাই হতাশাজনক। শাহীনুল হক জানিয়েছেন, ‘বৃষ্টি হলে অনুশীলনে সমস্যা হয়। তবে মাঠে টার্ফ বসানো হবে, জিমের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম আসবে। অবশ্য পুল কবে ব্যবহার করতে পারবো বলতে পারছি না।’

অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক, ‘সিলেট বিকেএসপি মাত্র শুরু হয়েছে। সামনে ক্রিকেট যোগ হবে আমাদের প্রতিষ্ঠানে। আমি আশাবাদী, ভবিষ্যতে ভালো কিছুই হবে।’