কাবাডির জিয়ার আদর্শ মাশরাফি

ভারতের প্রো-কাবাডি লিগে খেলা জিয়াউর রহমানভারতের প্রো-কাবাডি লিগে বর্তমানে খেলছেন বাংলাদেশের দুজন- জিয়াউর রহমান ও মাসুদ করিম। প্রথমজন খেলছেন বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের হয়ে, দ্বিতীয়জন ইউপি যোদ্ধার। দুজনেই নিজ নিজ দলের হয়ে সুনামের সঙ্গে খেলে যাচ্ছেন। কলকাতাভিত্তিক দল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলে আলোচনায় চলে এসেছেন জিয়া।

ভারতের ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিয়া কথা বলেছেন অনেক বিষয় নিয়ে। তবে এর মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাই যে তার বড় অনুপ্রেরণা, সেটাই ঘুরে-ফিরে এসেছে। মাশরাফি তার কাছের বন্ধু ও ভাইয়ের মতো। জিয়া বলেছেন, ‘মাশরাফি ভাই দারুণ মানুষ। আমরা যখন বাংলাদেশে কবাডির জাতীয় শিবিরে, তখন তিনি এসেছিলেন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে। সেটাই প্রথম আলাপ। সেদিন আমার সঙ্গে দাবা খেলেছিলেন উনি। এত সফল খেলোয়াড়, কিন্তু একবিন্দু অহঙ্কার নেই। খুব সহজে মিশে যেতে পারেন সবার সঙ্গে। তারপর অনেকবার কথা হয়েছে তার সঙ্গে।’

ভারতে যাওয়ার আগেও দেখা হয়েছিল তার মাশরাফির সঙ্গে, ‘এবার প্রো-কবাডি খেলতে আসার সময় ঢাকার বিমানবন্দরে দেখা হয়েছিল মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে। আমি বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলছি শুনে অভিনন্দন জানান। সঙ্গে দেন কলকাতা সংক্রান্ত নানা মূল্যবান পরামর্শ।’

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই খেলোয়াড় কলকাতার দলে খেলতে পেরে ভীষণ খুশি, ‘গত মে মাসে প্রথম জানতে পারি, বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স আমাকে নিয়েছে। শুনেই মনটা আনন্দে ভরে গিয়েছিল। প্রথম আনন্দটা হলো দলের মধ্যে বাংলায় কথা বলার লোক পাবো। সঙ্গে বাংলার খাবারের বিষয় তো আছেই।’

২০১৬ সালে প্রো-কাবাডিতে প্রথম খেলা শুরু জিয়ার। এবার কলকাতা দলের হয়ে আগে থেকেই তার খেলার ইচ্ছা ছিল, ‘মাশরাফি ও সাকিব আল হাসান আইপিএলে কলকাতার দলের হয়ে খেলেছেন। ফুটবলে প্রথম আইএসএলে মামুনুল ইসলামও কলকাতার দলের হয়ে খেলেছিলেন। তাই আমার ইচ্ছা ছিল প্রো-কবাডি লিগে কলকাতার হয়ে খেলার। গত বছর ভালো খেলায় সেই সুযোগ পেয়ে গিয়েছি এবার।’

বাংলাদেশের হয়ে এশিয়ান গেমস কবাডিতে ২০০৬ সালে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন জিয়া। কুড়িগ্রামের এই ছেলের কাবাডিতে আসার গল্পও শুনিয়েছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, ‘আগে ফুটবলই খেলতাম। কিন্তু নৌবাহিনীতে যোগদানের পরেই কবাডিতে নিয়ে আসা হয় আমাকে। ওখানেই খেলাটা ভালো করে রপ্ত করি। আর এটা তো বাংলাদেশের জাতীয় খেলাও।’