‘লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে সাফল্য পেলে খুব ভালো লাগবে’

জাতীয় সাঁতারে তিনটি রেকর্ড সহ চারটি সোনা জিতেছেন জুনায়নাজন্ম আর বেড়ে ওঠা লন্ডনে হলেও নাড়ির টান এড়াতে পারেননি জুনায়না আহমেদ। বছর দেড়েক আগে বাবার সঙ্গে বাংলাদেশে এসে জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। চলমান জাতীয় সাঁতারেও তার দারুণ পারফরম্যান্স। ভবিষ্যতে লাল-সবুজ পতাকা বুকে জড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য চান জুনায়না।

২০১৭ সালের অক্টোবরে বয়সভিত্তিক সাঁতারে ১১টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে ১০টিতেই প্রথম হয়েছিলেন তিনি, যার মধ্যে জাতীয় রেকর্ড ছিল ৮টি ইভেন্টে। ‘বড়’দের সঙ্গে লড়াই করেও জুনায়না সফল। জাতীয় সাঁতারে তিনটি রেকর্ড সহ চারটি সোনা জিতেছেন তিনি। রবিবার প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ও ২০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে রেকর্ড গড়েছেন। সোমবারও তার জয়জয়কার। ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে রেকর্ড গড়ার পর ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলেও জুনায়না প্রথম। শেষ ইভেন্টে অবশ্য রেকর্ড ভাঙতে পারেননি।

এমন পারফরম্যান্সে জুনায়না উচ্ছ্বসিত। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় সাঁতারে প্রথমবার অংশ নিয়েই সাফল্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আগামীকাল প্রতিযোগিতার শেষ দিন পর্যন্ত সাফল্য ধরে রাখতে চাই।’

জাতীয় সাঁতারে সাফল্যের পর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চান জুনায়না, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলতে চাই। এখন এটাই আমার স্বপ্ন। লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে স্বর্ণপদক জিততে পারলে খুব ভালো লাগবে।’

মাত্র ছয় বছর বয়সে লন্ডনে সাঁতার শেখা শুরু জুনায়নার। লন্ডন চ্যাম্পিয়নশিপ, এসেক্স চ্যাম্পিয়নশিপ সহ ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি। বৃটেনের পাশাপাশি বাংলাদেশের পাসপোর্ট আছে তার।