দুই দেশের সংঘাতের মাঝেই এশিয়ান বিচ হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। শুক্রবার ওমানের মাস্কাটে হয়েছে দুই দলের লড়াই।
এই লড়াইয়েও উত্তেজনা যে ছিল না এমন নয়। ভারত প্রতিবাদে কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছিল। যদিও আয়োজকরা তাদের এই বলে সতর্ক করে দেয়, এই ধরনের আচরণ তাদের টুর্নামেন্ট থেকে বাদ দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
দুই দেশের সংঘাতের জেরে শুরুতে এই ম্যাচ বয়কটের কথাও ভেবেছিল ভারতীয় দল। দেশে জনরোষের মুখে পড়তে হবে- এমন ভাবনায় ম্যাচ না খেলার পক্ষে অবস্থান নিতে চেয়েছিল। কিন্তু এশিয়ান হ্যান্ডবল ফেডারেশন নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার শাস্তির কথা বলে সতর্ক করে দিলে বাধ্য হয়ে খেলতে নামে তারা।
এই প্রসঙ্গে ভারতের হ্যান্ডবল ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক আনন্দেশ্বর পান্ডে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশনের চার্টার অনুসারে এই ম্যাচ বয়কট করলে আমাদের ১০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হতো। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও নিষিদ্ধ হওয়া লাগতো দুই বছর। তাই আইএইচএফ ক্যাটাগরিকালি আমাদের জানায়, ভারত যদি এই ম্যাচ না খেলে তাহলে সেটা অলিম্পিক চার্টারের চেতনা বিরোধী কাজ হবে। তাই আমাদের কোনও বিকল্প ছিল না।’
পুল ম্যাচটা অবশ্য ২-০ ব্যবধানে হেরেছে ভারত। সম্ভাবনা আছে দুই দল আবারও একই ইভেন্টে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারে। সেক্ষেত্রে কী করা হবে এমন প্রশ্নে পান্ডে বলেছেন, ‘আমন্ত্রণের বিষয়টি এক মাস আগেই অগ্রীম জানানো হয়েছে। ভারতের নারী ও পুরুষদের দলও মাস্কাটে পৌঁছায় ৫ মে। তাই আমরা জানতাম না যে দুই দেশের পরিস্থিতি এতটা বিরোধপূর্ণ হয়ে যাবে। সম্ভাবনা আছে দুই দলের আবারও সেমিফাইনাল ও ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার। আমরা মন্ত্রণালয় ও অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। যদি কয়েক দিনের মধ্যে না আসে, তাহলে আমরা দলকে বলবো পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা ছেড়ে দিতে। যদি তেমন কিছু হয়।’
টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৫ মে। এই টুর্নান্টে আবার ২০২৬ বিশ্ব বিচ হ্যান্ডবলের বাছাই টুর্নামেন্টও।