‘ব্রাজিলের জন্য সেরাটা দিয়ে আসছি’

বয়স তার ৩৯। তারপরেও এখনও ব্রাজিল দল গড়তে হলে দানি আলভেজের কথা চিন্তা করতে হয়। কোচ তিতে রক্ষণের পুরনো সেনানিকে এবার রেখেছেন কাতারের বিশ্বকাপে। যদিও প্রথম দুটি ম্যাচে আলভেজকে টেন্টে বসে থাকতে হয়েছে। মাঠে খেলতে না পারলেও কোনও আক্ষেপ নেই আলভেজের। বরং দলের জন্য যা ভালো হয় তা মগজে গেঁথে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

টানা দুই ম্যাচ জিতে নক আউট পর্ব আগেই নিশ্চিত করেছে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। গ্রুপে শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ক্যামেরুন। এই ম্যাচে কোচ তিতে বেশ কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে চাইছেন। একাদশে বড় পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত মিলেছে। বিশেষ করে নিয়মিত খেলা কয়েকজনকে বিশ্রাম দেওয়ার পরিকল্পনা তার। তাই আলভেজের মতো বর্ষীয়ান ডিফেন্ডারকে একাদশে দেখতে পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ক্যামেরুনের বিপক্ষেও রক্ষণ নিচ্ছিদ্র করে খেলার পরিকল্পনা তিতের। তাতে নেতৃত্ব দিতে পারেন আলভেজ। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আলভেজ নিজের ক্যারিয়ারসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিতের পাশে বসে অনায়াসে বলে গেলেন অনেক কিছুই।

কাতার বিশ্বকাপে খেলতে এসেছেন। তাতেই আলভেজের গর্বের শেষ নেই। তার কথাতেই পরিষ্কার, ‘আমি গর্বিত যে এখানে আসতে পেরেছি। এই দলের হয়ে অনেক দিন ধরেই আছি। সেই সূত্রে বিশ্বকাপে খেলতে পারছি। যা আমাকে অনেক আনন্দিত করেছে।’

কঠোর পরিশ্রম ও সাধনায় ব্রাজিলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়টি এই পর্যন্ত এসেছেন। তা অকপটে স্বীকারও করে নিলেন। তার ভাষায়, ‘যখন আপনি কঠোর পরিশ্রম করবেন, নিজেকে পুরো নিবেদিত রাখবেন; তখন আপনি প্রত্যাশিত সবকিছু পাবেন। এমন জায়গায় হয়তো পৌঁছাবেন তা চিন্তার মধ্যেও ছিল না। যা আমি জীবনে পেয়েছি।’

নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে তৃপ্তির জায়গাটা খোঁজার চেষ্টা করছেন আলভেজ। বললেন, ‘আমি আমার ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে দলের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। জীবন সবসময় সেই ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করে যারা কাজ করতে পছন্দ করে। মিশনে নিজেদের সেরাটা দেয়।’

বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে নিজের জায়গা না পেয়েও হতাশা বা আফসোস নেই আলভেজের। বরং ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যা হচ্ছে তা নিয়ে খুশিই আছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে আমি ছিলাম না। আমাদের দলের আমার জায়গায় প্রয়োজন আরও ভালো খেলোয়াড়ের। যেভাবে পরিকল্পনা হয়েছে সেভাবেই খেলে সবাই।’

দলের প্রয়োজনে সবকিছু করতে রাজি আছেন বলেও জানান আলভেজ। বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি দলকে সহযোগিতা করতে। আমি জানি আমি দলের জন্য কতটুকু কী করতে পারি। অন্যরা আমার চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। তবে আমি জানি, আমাকে কী করতে হবে। আর কতটুকু করতে পারবো।’

কোচ তিতে তার পাশ থেকে বসে প্রশংসাই করে গেলেন। বললেন, ‘দানি ভালো উদাহরণ হতে পারে। সে সবকিছু করে খুবই নিখুঁতভাবে। তাকে সমীহ করতেই হয়। সে ফুটবলের চেয়ে বড় কিছু। মাঠে সেরা একজন।’