ইউএস ওপেন ফাইনালে নাদাল

ফাইনালে ওঠার পর নাদালের উদযাপনরজার ফেদেরারকে কোয়ার্টার ফাইনালে আটকে দেওয়া হুয়ান মার্তিন দেল পোত্রো সেমিফাইনালেও দারুণ শুরু করেছিলেন। শীর্ষ র‌্যাংকিংধারী রাফায়েল নাদালকে প্রথম সেটে হারিয়ে দেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় সেট থেকে ঘুরে দাঁড়ান নাদাল। আর্জেন্টাইন প্রতিপক্ষকে আর পাত্তা দেননি স্প্যানিশ তারকা। ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন তিনি। বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম তৃতীয়বার হাতে নেওয়ার পথে তার একমাত্র বাধা এখন কেভিন অ্যান্ডারসন।

শুক্রবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৪-৬, ৬-০, ৬-৩, ৬-২ গেমে জিতেছেন নাদাল। ২০১০ ও ২০১৩ সালের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন এবার ১৬তম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার দ্বারপ্রান্তে। দেল পোত্রোর বিপক্ষে কোনও গ্র্যান্ড স্লাম সেমিফাইনালে নাদাল সর্বশেষ হেরেছিলেন ৮ বছর আগে। ওই ফলের পুনরাবৃত্তি এবার হয়নি। স্প্যানিশ তারকা ফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন এভাবে, ‘এটা আমার কাছে অনেক কিছু। বেশ কয়েকটি ইনজুরির পরও চমৎকার এক মৌসুম কাটালাম। দারুণ ও উচ্ছ্বসিত দর্শকদের সামনে আরেকটি শিরোপার জন্য লড়াইয়ের সুযোগ পাওয়া আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রথম সেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানো নাদাল পরে আর মাত্র ৫ গেম হারেন, এরপর দাপুটে সার্ভে ম্যাচ শেষ করেন ২৫টি ফোরহ্যান্ড উইনার্সে। ডোমিনিক থিয়েমের বিপক্ষে শেষ ষোলোতে ৫ সেটের মহাকাব্যিক লড়াই ও ফেদেরারের বিপক্ষে আগের রাউন্ডের লড়াইয়ের পর সেমিফাইনালে বেশ ক্লান্ত লাগছিল দেল পোত্রোকে। সেই সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগালেন নাদাল।

সেমিফাইনাল জয়ের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করলেন অ্যান্ডারসন৩১ বছর বয়সী নাদালের আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেন অ্যান্ডারসন। প্রথম সেমিফাইনালে পাবলো কারেনো বুস্তাকে ৪-৬, ৭-৫, ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়ে ৩০ বছরে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে কোনও গ্র্যান্ড স্লাম এককের ফাইনালে উঠলেন তিনি। নাদালের বিপক্ষে তাকে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে। কারণ সাক্ষাৎ লড়াইয়ে ৪-০ তে এগিয়ে স্প্যানিশ তারকা। তবে সমবয়সী প্রতিপক্ষকে মোটেও খাটো করে দেখছেন না নাদাল, ‘কেভিনের বিপক্ষে খুব কঠিন হবে খেলা। তার সার্ভ অবিশ্বাস্য। ইনজুরি থেকে সে যেভাবে ফিরে এসেছে সেটা বাচ্চাদের জন্য দারুণ দৃষ্টান্ত। ১২ বছর বয়স থেকে আমাদের জানাশোনা। সে ফাইনালে ওঠায় আমি খুব খুশি।’

আগামী রবিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টায় হবে ইউএস ওপেনের ফাইনাল ম্যাচটি।