১৯৯৩ সালের ৩০ এপ্রিল সিটিজেন কাপে খেলছিলেন সেলেস। হঠাৎ গ্যালারি থেকে লাফিয়ে কোর্টে চলে আসেন এক ব্যক্তি। প্রায় ৯ ইঞ্চি দীর্ঘ ছুরি বসিয়ে দেন সেলেসের পিঠে। পরে তিনি জানান, গ্রাফের ‘উন্মাদ ভক্ত’ বলেই এমন কাণ্ড করেছেন!
টেনিস বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া ওই ঘটনার আগে ৮টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন সেলেস। কিন্তু ছুরিকাহত হওয়ার পর কোর্টে ফিরলেও তেমন সাফল্য পাননি। প্রত্যাবর্তনের পর ১৯৯৬ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপাই ছিল তার একমাত্র গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি।
তেমনই এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হয়েছিলেন পেত্রা কেভিতোভা। ২০১৬ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে চেক প্রজাতন্ত্রে নিজের বাড়িতেই ভয়ঙ্কর আক্রমণ হয়েছিল তার ওপরে। দুর্বৃত্তের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় তার বাঁ হাত।
কিন্তু লড়াকু কেভিতোভা দমে যাননি। সেলেসের মতো অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে কোর্টে ফিরেছেন গত বছর। দুবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নের প্রত্যাবর্তন এক কথায় দুর্দান্ত। ৫টি শিরোপা জিতেছেন, যার মধ্যে সর্বশেষটি বছরের শুরুতে সিডনি ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্টের ট্রফি।
কোর্টে ফেরার পর এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনই কেভিতোভার প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম। মেলবোর্নে টানা ৬ ম্যাচ জিতে উঠে যান ফাইনালে। শিরোপা লড়াইয়ে জাপানের নাওমি ওসাকার কাছে হেরে গেলেও লড়াই করেছেন শেষ পর্যন্ত। ম্যাচের স্কোরই (৭-৬, ৫-৭, ৬-৪) সাক্ষ্য দিচ্ছে সে কথা।
প্রত্যাবর্তনকে ‘দ্বিতীয় জীবন’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। সেই জীবনের শুরুতেই দারুণ পারফরম্যান্স। অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে চিকিৎসকদের সাবধানবাণী তুচ্ছ করে কোর্টে ফেরা কেভিতোভার লড়াই তরুণ খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করবেই।