উইম্বলডনে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় আরব কন্যা

আরব বসন্তের শুরুটা তিউনিশিয়া থেকেই। যেখান থেকে শাসকদের বিরুদ্ধে গণবিপ্লবের ঝড় ছড়িয়ে পড়ে আরবের অন্যান্য দেশে। ২০১১ সালের ওই সময়টা এখন টেনিসের জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলা চলে। একই বছর টেনিসেও বিপ্লব শুরু করেছিলেন তিউনিশিয়ার মেয়ে ওনস জাবেউর। আরব বিশ্ব থেকে প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে জেতেন জুনিয়র এককের ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা। এবার বড়দের টেনিসে সেই বিপ্লবের চূড়ান্ত পরিণতি দেখার অপেক্ষায় তিনি।

আরবের প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে কোনও গ্র্যান্ড স্লাম সেমিফাইনালের টিকিট কাটার পর নিশ্চিত করেছেন ফাইনালও। এখন উইম্বলডন জিতলেই ইতিহাসটা নতুন করে লিখবেন এই ২৭ বছর বয়সী।

সেমিফাইনালে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন জার্মান তাতজানা মারিয়া। জাবেউর তাকে প্রথম সেটে হারান ৬-২ গেমে। পরের সেটে ৩-৬ গেমে হেরে হোঁচট খেলেও তৃতীয় সেটে আর মারিয়াকে সুযোগ দেননি। শেষ সেট জিতে নেন ৬-১ গেমে।         

গত বছর থেকে নিজেকে ভিন্নভাব চেনানো শুরু জাবেউরের। আরবের প্রথম নারী হিসেবে জেতেন ডাব্লিউটিএ ট্যুর। এবার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে পৌঁছেই নিজেকে যুক্ত করলেন ইতিহাসের যাত্রী হিসেবে।

অন্যান্য রক্ষণশীল আরব দেশের মতো তিউনিশিয়াতেও মেয়েদের বেলায় থাকে নানা প্রতিবন্ধকতা। বলা চলে ছোটকাল থেকে সেসব বাধা পার হয়ে জাবেউর এতদূর এসেছেন। তাই ফাইনালে পৌঁছানোর পর তিনি বলেছেন, ‘অনেক দিনের ত্যাগ ও পরিশ্রমের পর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত।’

তার এই কীর্তির ফলে আরব দেশের পাশাপাশি আফ্রিকা মহাদেশ থেকেও ১৯৬০ সালের পর প্রথম নারী কোনও খেলোয়াড় মেজর ফাইনালে পৌঁছুলেন। উইম্বলডনে সর্বশেষ সেটি করতে পেরেছিলেন সান্ড্রা রেইনল্ডস।  

এখন ফাইনালে সিমোনা হালেপ কিংবা এলেনা রাইবাকিনার মাঝে বিজয়ী একজন জাবেউরের প্রতিপক্ষ।