টেনিসে বাংলাদেশের প্রথম নারী রেফারি মাসফিয়া

কাঁধের চোটের ক্যারিয়ার বেশি দূর এগোতে পারেননি মাসফিয়া আফরিন। তবে টেনিস থেকে দূরে সরে যাননি।  রেফারিং কোর্স করে সম্পৃক্ত আছেন। বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক নারী রেফারি হয়ে ইতিহাসও গড়লেন তিনি।

শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছে জুনিয়র বিশ্ব টেনিস সিরিজ। টুর্নামেন্টের পরিচালক জার্মানির টমাস সুলজের সঙ্গে সমন্বয় করে রেফারি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন মাসফিয়া। ভিকারুননিসা কলেজের এই ছাত্রী খেলোয়াড়দের ড্র ও সূচিসহ অনেক কিছুই সামলাচ্ছেন।

জাতীয় ও বয়সভিত্তিক একাধিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন মাসফিয়া। রেফারিংয়ের লেভেল ওয়ান কোর্সও করেছেন গত বছর। জানুয়ারিতে ঢাকায় হয়েছিল আইটিএফ অনূর্ধ্ব-১৪ ডেভেলপমেন্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সহকারী রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন মাসফিয়া। এবার প্রধান রেফারির দায়িত্ব পেয়ে খুব উচ্ছ্বসিত মাসফিয়া। তিনি বলেন, ‘কাঁধের চোট অনেক ভুগিয়েছে। এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি। এই অবস্থায় খেলা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তাই অফিশিয়াল কার্যক্রমে আগ্রহী হয়েছি। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম মেয়ে রেফারি, এটা ভেবেই গর্ব হয়। স্বপ্ন দেখি একদিন সাদা ব্যাজের রেফারি হওয়ার। তাহলে গ্র্যান্ড স্লাম চালাতে পারবো।’

টেনিস ফেডারেশেনর সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দারও খুশি। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের এখানে আইটিএফ থেকে প্রশিক্ষক এসেছিলেন, তার অধীনে ২২ জন ছেলেমেয়ে অংশ নেয় রেফারিং কোর্সের লেভেল ওয়ানে। সেখানে মাসফিয়া প্রথম হয়েছিল। যে কারণে তাকে রেফারি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছি। তাকে সাদা ব্যাজের পরীক্ষার জন্য এরপর ইন্দোনেশিয়া পাঠানো হবে। সেখানে উত্তীর্ণ হলে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের জন্য বিদেশ থেকে রেফারি আনার প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশের কোনো মেয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট পরিচালনা করবে, এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গর্বের। এটা আমাদের ফেডারেশনের একটা সফলতা।’