প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন শিল্পে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। পরিবর্তনশীল এই বাজারে শীর্ষে পৌঁছানোর প্রত্যয়ে অনুষ্ঠিত হলো দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের পরিবেশক সম্মেলন। এতে অংশ নেন সারাদেশ থেকে আসা পণ্যটির পরিবেশকরা। বুধবার (২৫ এপ্রিল) গাজীপুরের চন্দ্রায় মার্সেল কারখানায় অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এই সম্মেলনে পরিবেশকদের গ্রাহক ব্যাংক তৈরির পরামর্শ দেন আয়োজকরা।
এদিন সকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মার্সেলের পরিবেশকদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এরপর সেখানকার অত্যাধুনিক কারখানায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন তারা।
সম্মেলনে মার্সেল এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম বলেন, ‘আগে মেড ইন বাংলাদেশ লেখা পণ্য কিনতে মানুষ দ্বিধায় থাকতো। কিন্তু এখন পণ্যের উচ্চমানের কারণে ক্রেতাদের মধ্যে দেশীয় পণ্যের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। আমাদের আরও নতুন নতুন ডিজাইনের পণ্য আসছে। এগুলো মার্সেলের মার্কেট শেয়ার বৃদ্ধির গতিকে ত্বরান্বিত করবে।’
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, ‘ইলেকট্রনিক্স পণ্যের জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এর ধারায় মার্সেলের বাজার বড় হচ্ছে। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে মার্সেল দ্বিতীয় অবস্থানে। অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই মার্সেল শীর্ষে পৌঁছাবে। মার্সেল এমনভাবে নেতৃত্ব দিতে চায়, যাতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যে বিশ্বের শীর্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আবির্ভূত হতে পারে।’
পণ্যটির বিপণন বিভাগের প্রধান ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ‘এ বছর দেশীয় বাজারে ৬০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি আমরা। সেই লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশকদের উৎসাহিত করতেই সম্মেলন করা। এজন্য আধুনিক বিপণন ব্যবস্থার বিভিন্ন কলাকৌশল নিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
শুরুতে প্রতিষ্ঠাতা গ্রুপ চেয়ারম্যান মরহুম এসএম নজরুল ইসলামের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও আমিন খানকে নিয়ে কেক কাটেন মার্সেলের পরিবেশক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সম্মেলনে সেরা পরিবেশকদের পুরস্কৃত করা হয়। সবশেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।