X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায়ী অর্থবছরে রেমিটেন্স এসেছে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০২ জুলাই ২০১৮, ২২:০৪আপডেট : ০২ জুলাই ২০১৮, ২২:০৫

বিদায়ী অর্থবছরে রেমিটেন্স এসেছে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার বেড়েই চলেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহ। সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীরা একহাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ডলার এসেছে, যা গত বছরের জুন মাসের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। এর আগে মে মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলারেরও বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১৩২ কোটি ৭১ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখছে প্রবাসীদের পাঠানো এই বৈদেশিক মুদ্রা।

এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আগের বছরের (২০১৫-১৬) চেয়ে ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম রেমিটেন্স আসে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা মাত্র ৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠান। রেমিটেন্স প্রবাহের মাস হিসেবে গত ছয় বছরের মধ্যে এটিই ছিল সর্বনিম্ন। শুধু সেপ্টেম্বরই নয়, বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এই রেমিটেন্স কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে রেমিটেন্স বাড়াতে নানা উদ্যোগও নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় ফেরে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী সাইদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক এই রেমিটেন্স বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যাংকগুলোর ভূমিকাও ছিল উল্লেখ করার মতো।’

তবে রেমিটেন্স বাড়ার পেছনে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ার কারণে একদিকে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন, অন্যদিকে পণ্য আমদানি বাড়ায় ডলারের সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলো নিজেদের প্রয়োজনে রেমিটেন্স আনতে বেশি উৎসাহী হচ্ছে।’

দেশের রেমিটেন্সের অর্ধেকের বেশি আসে মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশ—সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত ও বাহরাইন থেকে। রেমিটেন্স বাড়ার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীরা একহাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার সমপরিমাণ মূল্যের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল একহাজার ৪৯২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে রেমিটেন্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ কোটি ডলার বা ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

 

/জিএম/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
রাজশাহীতে হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব, পদক পাচ্ছেন ৬ জন
রাজশাহীতে হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব, পদক পাচ্ছেন ৬ জন
এই সরকার ভোটে নির্বাচিত নয়, সেজন্য জনগণকে তারা ভয় পায়: ড. মঈন খান
এই সরকার ভোটে নির্বাচিত নয়, সেজন্য জনগণকে তারা ভয় পায়: ড. মঈন খান
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে