X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঘাটতি মেটাতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করবে সৌদি আরব

বিজনেস ডেস্ক
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৩:২০আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৪:৪৮
image

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ রেকর্ড পরিমাণ বাজেট ঘাটতি মেটাতে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য নিয়মিত নাগরিক সেবা থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব।
সোমবার সৌদি অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালের বাজেট পেশ করে। এমন বাজেট ঘাটতি কমানো বিষয়ক পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়।
পরিকল্পনা অনুসারে, কর এবং বেসরকারিকরণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি ব্যয় কমানোর ঘোষণাও দেওয়া হয়। এ সময় অর্থনীতি বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা প্রকাশের পাশপাশি রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
সৌদি রাজা সালমান বলেন, ‘তেলের দরপতন, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কিছু দেশে অস্থিরতার কারণে এ বাজেট ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘাটতি মোকাবেলায় জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য নিয়মিত নাগরিক সেবা থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হবে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেট্রোলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ ছাড়া, বাড়বে ডিজেল, বিদ্যুৎ, পানির দামও।

বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দর পতনের পাশাপাশি নতুন রাজা সালমানের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষ্যে বেড়েছে ব্যয়। ফলে দেশটিতে রেকর্ড পরিমাণ বাজেট ঘাটতি দেখা দিয়েছে।   

দেশটির রাজস্ব আদায় ২০১৫ সালে কমেছে ৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বা ৩৬ হাজার ৭৬০ কোটি সৌদি রিয়াল। এটি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৫ শতাংশ কম। এ সময় মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬০ হাজার ৮০০ কোটি রিয়াল।  

অপরদিকে রাজস্ব ব্যয় আগের অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ৯৭ হাজার ৫০০ কোটি রিয়াল। এটি ব্যয়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি।

মূলত নতুন রাজার রাজ্যাভিষেক এবং সামরিক ও বেসামরিক সরকারি কর্মীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিতে এ ব্যয় বেড়েছে। এ ছাড়া, পাশ্ববর্তী দেশ ইয়েমেনে সামরিক অভিযান বাবদ ২০১৫ সালে দেশটির ব্যয় হয়েছে ২ হাজার কোটি রিয়াল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সৌদি আরবের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি, পররাষ্ট্রনীতি এবং সাম্প্রতিক ইয়েমেনে হামলা পরিচালনা এ অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য দায়ী।

অর্থনৈতিক সমস্যার বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। চলতি বছরের অক্টোবরে আইএমএফ বলেছিল, সৌদি আরবকে তাদের অর্থনৈতিক নীতি বদলাতে হবে। তা না হলে দেশটি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।

তেল রাজস্ব

মার্চ, ২০১২ সালে তেলে দর ছিল ব্যারেল প্রতি ১২৫ ডলার। বর্তমানে এ দর নেমে এসেছে ৩৭ ডলার ১৮ সেন্টে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৫ সালে দেশটির রাজস্ব আয়ের ৭৭ শতাংশ এসেছে জ্বালানি তেল থেকে। এ আয় আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ কম।

তেল উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক’র সবচেয়ে বড় অংশীদার সৌদি আরব। সম্প্রতি  ওপেক’র বৈঠকে তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে দেশটি সম্মত হয়নি।

দেশটির ধারণা, এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো তেলের বাজার থেকে ঝরে পড়বে। এতে ভবিষ্যতে তেলের দর বাড়বে।

ওই বৈঠক শেষে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওপেক বলেছে, ২০২০ সাল নাগাদ প্রতি ব্যারেল তেলের দর পৌঁছাবে ৭০ ডলারে।  

/এফএইচ/

সম্পর্কিত
অর্থনৈতিক চাপে জাপানের অধিকাংশ মানুষ
বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রফতানি করবে ভারত
মিউনিখ সম্মেলনে সবার দৃষ্টি শেখ হাসিনার দিকে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সর্বশেষ খবর
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
নির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
উপজেলা নির্বাচননির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?