X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

এলপিজি মাদার টার্মিনাল নির্মাণে শিগগিরই সমঝোতা স্মারক সই

সঞ্চিতা সীতু
০৯ মার্চ ২০২১, ০০:০০আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২১, ০০:২৮

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মাদার টার্মিনাল নির্মাণের জন্য শিগগিরই সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে। জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা সূত্রে এ খবর জানা গেছে। মহেশখালীতে টার্মিনালটি যৌথভাবে বিপিসি, মারুবিনি এবং ভিটল পাওয়ারকো নির্মাণ করবে।

জ্বালানি বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসি সমঝোতা স্মারক সই করার জন্য অনুমোদন চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩ মার্চ অনুমোদন দিয়েছিলেন। সোমবার (৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের চিঠি জ্বালানি বিভাগে এসেছে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, টার্মিনালটি নির্মাণ হলে টন প্রতি এলপিজির পরিবহন ব্যয় কমবে ৪০ ডলারের মতো। এতে গ্রাহকের কাছে আরও সাশ্রয়ী দরে এলপিজি পৌঁছানো যাবে। এখন এলপিজি পরিবহনের জন্য টনপ্রতি ব্যয় হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১০ ডলার পর্যন্ত। এই টার্মিনাল নির্মাণ হলে এলপিজি পরিবহন ব্যয় নেমে আসবে ৬৫ ডলারে।

প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় হবে ৩০৫ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটিতে বিপিসি এবং ভিটল পাওয়ারকোর ৩০ শতাংশ করে ৬০ শতাংশ এবং মারুবিনির ৪০ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকছে। প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর ১০ বছর পর বিপিসির কাছে শতভাগ শেয়ার হস্তান্তর করবে ভিটল এবং মারুবিনি। অর্থাৎ তখন প্রকল্পটির পুরো মালিকানা সরকারের হাতে চলে আসবে।

বিপিসি সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত এলপিজি টার্মিনালের অপারেশন ক্ষমতা হবে বার্ষিক প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ মেট্রিক টন। টার্মিনালের জেটিতে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার এলপি গ্যাসবাহী জাহাজ নোঙর করার ব্যবস্থা থাকবে। টার্মিনালের মজুত ক্ষমতা হবে ন্যূনতম ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এখান থেকে প্রায় এক হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ দিয়ে দেশের এলপি গ্যাস কোম্পানিতে সরবরাহ করা হবে।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, এতে করে এলপিজি ব্যবসা সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এলপিজি কিনবে এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে এলপিজি সরবরাহ করবে। এতে যেহেতু পরিবহন ব্যয় কমে আসবে তাই গ্রাহক কম দামে এলপিজি পাবে। গ্রাহকের সেবা করাই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।

বর্তমানে দেশে ২৭টি এলপিজি বোতলজাতকরণ কারখানা রয়েছে। এরমধ্যে ২৭টির জেটি থাকলেও বাকিগুলোর নেই। দেশে আরও ছয়টি এলপিজি বোটলিং প্ল্যাট শিগগিরই উৎপাদনে আসবে। আমদানির সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন এলপিজি বোটলিং প্ল্যাটগুলো মোংলায় এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত। এখানে নদীর গভীরতা কম হওয়ায় বড় আকারের জেটি নির্মাণ করা সম্ভব নয়। এজন্য সব কোম্পানি ছোট আকারের জাহাজে এলপিজি আমদানি করে। যাতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। এই বাড়তি পরিবহন ব্যয়ও যোগ হয়ে যায় গ্রাহকের দামের সঙ্গে।

/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইরানি তেল বাণিজ্যে আবারও আঘাত যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানি তেল বাণিজ্যে আবারও আঘাত যুক্তরাষ্ট্রের
ফুটবল খেলার সময় বজ্রাঘাতে স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফুটবল খেলার সময় বজ্রাঘাতে স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু
বাংলাদেশের মেয়েদের গোলের মালা পরালো জাপান
বাংলাদেশের মেয়েদের গোলের মালা পরালো জাপান
অমিতাভ বচ্চনের দেয়ালে জয়া আহসান!
অমিতাভ বচ্চনের দেয়ালে জয়া আহসান!
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড