আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ সাত শিল্পাঞ্চলের রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের দুই হাজার ৩৩১ কারখানার মধ্যে ৩২ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ৭৫২টি বুধবার (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেয়নি। এমনকি ১০১ পোশাক কারখানা এখনও শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতনও দেয়নি।
শিল্প পুলিশ বুধবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় এ তথ্য দিয়েছে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা ও কুমিল্লার অন্য শিল্পকারখানাও পর্যবেক্ষণ করে শিল্প পুলিশ। তাদের তথ্যানুযায়ী, সাত শিল্পাঞ্চলে সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৬১৬ শিল্পকারখানা রয়েছে। তার মধ্যে ৩৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা ৩ হাজার ৪৫০টি এখন পর্যন্ত ঈদ বোনাস পরিশোধ করেনি। আর ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ বা ৪৯৭টি কারখানা শ্রমিকদের গত মার্চ মাসের বেতন দেয়নি।
শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার এক হাজার ২৮৫টি শিল্পকারখানা ঈদের ছুটি দিয়েছে। তাতে এখন পর্যন্ত ছুটি দেওয়া কারখানার সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৫৬৬টিতে দাঁড়িয়েছে। তবে ঈদের ছুটিতেও ৭৯ কারখানায় উৎপাদন চলবে বলে তথ্য দিয়েছে শিল্প পুলিশ।
শিল্প পুলিশের তদারকির মধ্যে থাকা ৯ হাজার ৬১৬ শিল্পকারখানার মধ্যে দুই হাজার ৩৩১টি পোশাক কারখানা। আর বস্ত্র কারখানার সংখ্যা ৩৫৮টি।
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্য এক হাজার ৬৩১ কারখানার মধ্যে ৭২টি বুধবার পর্যন্ত গত মাসের বেতন দেয়নি। আর ৬০৫ কারখানা এখনও শ্রমিকদের ঈদ বোনাস পরিশোধ করেনি। অন্যদিকে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য ৭০০ কারখানার মধ্যে ১৪৭টি এখনও ঈদ বোনাস পরিশোধ করেনি। আর শ্রমিকের বেতন দেয়নি ২৯ কারখানা।
এ ছাড়া বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সদস্য ৩৫৮ কারখানার মধ্যে ১২টি এখনও মার্চ মাসের বেতন দেয়নি। আর ঈদ বোনাস পরিশোধ করেনি ১১৮ কারখানা।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (আরএমজি টিসিসি) ১৪তম সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের ছুটির আগেই পোশাকশিল্পের মালিকপক্ষকে শ্রমিকের বোনাস পরিশোধ করতে হবে। গত মাসের বকেয়া বেতনও দিতে হবে।