ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব এবার মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সংগঠন মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার কিনে সর্বোচ্চ ১১৭ টাকায় বিক্রি করতে পারবে। এর চেয়ে বেশি দামে ডলার লেনদেন করলে মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনকে খোলা বাজারে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. শেখ হেলাল শিকদার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশ (এবিবি) ডলার সংক্রান্ত নির্দেশনা ঠিকমতো বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করে। এরপর মঙ্গলবার মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনকে খোলা বাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী কোনও ব্যাংক চাইলে ১১৬ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্স কিনতে পারবে। কিন্তু ১১১ টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না। অবশ্য ব্যাংকগুলো এখনও ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে প্রবাসী আয় কেনা অব্যাহত রেখেছে। গত সোমবারও ১২৪ টাকা দরে প্রবাসী আয় কিনেছে কিছু বেসরকারি ব্যাংক। যাদের আমদানি ও বিদেশি ঋণের দায় মেটানোর চাহিদা ছিল, তারাই এভাবে ডলার কিনেছে। যদিও আমদানি দায় মেটাতে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম এখনও ১১১ টাকা।
উল্লেখ্য, প্রবাসী আয় কেনার ক্ষেত্রে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে রয়েছে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা। পাশাপাশি কোনও কোনও ব্যাংক আরও আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। ফলে ডলারের সর্বোচ্চ দাম দাঁড়ায় ১১৬ টাকা।