ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ এমপি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পরে অর্থনৈতিক মুক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রধান স্বপ্ন। আর পাট ও পাটজাত পণ্য ছিল সেই অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।’
সোমবার (৩ জুন) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পাট ও পাটপণ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পাট ও পাটপণ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও জেম জুট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী নাবিল আরও বলেন, পাটশিল্পের সুদিন এখনও সামনে আছে। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই আইকনে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও এই খাতের টেকসই উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা চান পাট ও পাটজাত পণ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। অগ্রিম আয়কর (এআইটি), টিডিএস, ভর্তুকির ওপর কর, কাঁচা পাটের উচ্চ মূল্য, ব্যাংক ঋণের চাপসহ নানা কারণে কারখানা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিভিন্ন কারণে আমরা পাটের বাজার হারিয়েছি। দেশে পাট চাষে নিম্নমানের বীজ ব্যবহৃত হচ্ছে। এই খাতের টেকসই উন্নয়নে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারি-বেসরকারি খাতকে একইসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই খাতের উন্নয়নে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা থাকবে বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, পাট পরিবেশবান্ধব শিল্প। বিশ্বব্যাপী এই শিল্পের চাহিদা আছে। তবে পাট খাতের টেকসই উন্নয়ন করতে এটাকে আরও বেশি ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। না হলে বাজার কমে আসবে। এসময় সঠিক ও যৌক্তিক প্রস্তাবনা নিয়ে সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ডিরেক্টর ইন-চার্জ আবুল হোসেন বলেন, পাটশিল্পের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব ও প্রাধান্য দিতে হবে। এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে কমিটির সদস্যরা বলেন, পাট পণ্যের গুণগত মান আগের চেয়ে অনেক উন্নত। তবে টেক্সটাইল মেশিনারিজ চালানোর মতো দক্ষ লোকবলের অভাব রয়েছে দেশে। আবার দীর্ঘসময় লোডশেডিং এর কারণে ডিজেল কিনে কারখানা চালাতে হচ্ছে। যার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পাটশিল্পের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক পাট কারখানা প্রতিষ্ঠায় সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।