দেশের বাজারে একদিনের ব্যবধানে আবারও স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম স্থিতিশীল থাকলেও স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দামের সাম্প্রতিক পতনের প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন দাম শুক্রবার (৯ মে) থেকে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, স্থানীয় বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণের ভরিপ্রতির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম ৩ হাজার ১৩৭ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৮১১ টাকা।
বাজুস জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারের দামের পাশাপাশি স্থানীয় জোগান ও চাহিদা, আমদানির খরচ এবং ডলারের বিনিময় হার বিবেচনা করে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়।
নতুন দামে বিভিন্ন মানের সোনার ভরিপ্রতি মূল্য—
২২ ক্যারেট: প্রতি গ্রাম ১৪ হাজার ৭৩০ টাকা, ভরিপ্রতি ১ লাখ ৭১ হাজার ৮১১ টাকা।
২১ ক্যারেট: প্রতি গ্রাম ১৪ হাজার ৬০ টাকা, ভরিপ্রতি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩১ টাকা।
১৮ ক্যারেট: প্রতি গ্রাম ১২ হাজার ৫২ টাকা, ভরিপ্রতি ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৩৯ টাকা।
সনাতন পদ্ধতি: প্রতি গ্রাম ৯ হাজার ৯৬৮ টাকা, ভরিপ্রতি ১ লাখ ১৬ হাজার ২৬৪ টাকা।
এছাড়া রূপার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে—
২২ ক্যারেট: প্রতি গ্রাম ২৪১ টাকা, ভরিপ্রতি ২ হাজার ৮১২ টাকা।
২১ ক্যারেট: প্রতি গ্রাম ২৩০ টাকা, ভরিপ্রতি ২ হাজার ৬৮২ টাকা।
১৮ ক্যারেট: প্রতি গ্রাম ১৯৭ টাকা, ভরিপ্রতি ২ হাজার ২৯৮ টাকা।
সনাতন পদ্ধতি: প্রতি গ্রাম ১৪৮ টাকা, ভরিপ্রতি ১ হাজার ৭২৭ টাকা।
বাজুস বলেছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব জুয়েলারি দোকানে এই দাম কার্যকর থাকবে।
উল্লেখ্য, স্বর্ণ ও রুপার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং বাজুস নির্ধারিত সর্বনিম্ন ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। গহনার ডিজাইন ও মান অনুযায়ী মজুরির তারতম্য হতে পারে।