বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) আসন্ন নির্বাচনে ১২ দফা কর্মপরিকল্পনা সংবলিত ইশতেহার ঘোষণা করেছে সম্মিলিত পরিষদ। বুধবার (২১ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেল লিডার মো. আবুল কালাম।
তিনি বলেন, আমরা ১০০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের পথে যাত্রা করছি। এই যাত্রায় দরকার দক্ষ, অভিজ্ঞ ও সাহসী নেতৃত্ব। আমরা সেই নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
সম্মিলিত পরিষদের ঘোষিত ১২ দফা কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে–
এসএমই সহায়তা সেলের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য কাঠামোগত, আর্থিক ও নীতিগত সহায়তা দেওয়া হবে। এটি হবে একটি পরামর্শ ও সংস্কারকেন্দ্র; কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার ও সেবা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় এবং সংকটময় সময়ে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা; শ্রমিক, তত্ত্বাবধায়ক ও ব্যবস্থাপকদের ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি; একটি গ্রিন ফান্ডিং ডেস্ক গঠন এবং সুদের হার এক অঙ্কে আনার দাবিতে নীতিগত তদবির; ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে নতুন রফতানি গন্তব্য অনুসন্ধান করা; এলডিসি উত্তরণের পর বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য স্মার্ট রাজস্ব ব্যবস্থা ও সহায়তা কাঠামো গঠন; কাস্টমস, ভ্যাট ও বন্ড ব্যবস্থায় সহজ করা এবং পোশাক খাতে গ্রিন চ্যানেল চালুর উদ্যোগ; ওয়ান-স্টপ রফতানি সহায়তা সেল প্রতিষ্ঠার মাধ্যেমে বিশেষ করে এসএমই ও নারী নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানের জন্য কারিগরি সহায়তা ও বাণিজ্যিক বুদ্ধিমত্তা নিশ্চিত করা; আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ইউনিফাইড কোড অব কনডাক্ট প্রণয়ন; সবুজ রূপান্তরের জন্য কাঠামোগত কর্মপরিকল্পনা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা; নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের জন্য নেতৃত্ব বিকাশ ও পরামর্শমূলক সহায়তা এবং বিজিএমইএ’র প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, প্রযুক্তি ও সেবার মানোন্নয়ন করা হবে।
সম্মিলিত পরিষদ বলেছে, এটি শুধু একটি অঙ্গীকার নয়, একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ। এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।