X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

কঠোর লকডাউনেও গার্মেন্টস খোলা রাখতে চান মালিকরা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৫ জুন ২০২১, ২১:৫৫আপডেট : ২৫ জুন ২০২১, ২১:৫৯

সারাদেশে আগামী সোমবার থেকে (২৮ জুন) কঠোর লকডাউন আসছে। জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সবই বন্ধ থাকবে এ সময়। তবে লকডাউনেও কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস  মালিকরা। তারা বলছেন, গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে গ্রামে যেতে চাইবে, এ কারণে গার্মেন্টস খোলা রাখা জরুরি।

বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান শুক্রবার (২৫ জুন) বাংলা ট্রিবিউকে বলেন, ‘শাটডাউন বা লকডাউন যেটাই হোক, আমি মনে করি, তৈরি পোশাক কারখানা এই লকডাউনের বাইরে থাকবে। কারণ, তৈরি পোশাক কারখানা যদি বন্ধ করা হয়, তাহলে গার্মেন্টস কর্মীরা তখন গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করবে, বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।’

তিনি বলেন, ‘এটা সবাই জানে, ছুটি পেলেই শ্রমিকরা গ্রামের দিকে রওনা দেন। এতে করোনার প্রকোপ আরও ছড়িয়ে পড়বে। গ্রাম-শহর একাকার হয়ে যাবে। এছাড়া এই সময় অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য গার্মেন্টস কারখানা খোলা রাখা জরুরি।’ তিনি উল্লেখ করেন, সবকিছু বিচার- বিশ্লেষণ করলে কারখানা খোলা রাখাই ভালো হবে। এ ছাড়া অধিকাংশ শ্রমিক যেহেতু কারখানার কাছেই থাকেন, ফলে তাদের যানবাহনের প্রয়োজনীয়তা নেই।’

তিনি বলেন, ‘কারখানা বন্ধ রেখে যতটা না উপকার, তার চেয়ে খোলা রাখাই বেশি উপকার। বন্ধ হলে অর্ডার বাতিল হবে, বায়াররা চলে যাবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ কমে যাবে।’

এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। শুক্রবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় তথ্য অধিদফরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকারের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে— ‘এসময় জরুরি সেবা ব্যতীত সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না।’

এ পরিস্থিতিতে বিজিএমইএ’র  সভাপতি বলেন, ‘গার্মেন্টসগুলোকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা তুলনামূলক নিরাপদ থাকবে। বিগত দিনে দেখা গেছে, মালিকরা করোনায় আক্রান্ত হলেও শ্রমিকরা হননি।’ তার মতে, এই মুহূর্তে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হলে শ্রমিকরা সব গ্রামে ফিরতে শুরু করবেন। এতে সংক্রমণ আরও ছড়াবে।’

তিনি বলেন, ‘কারখানা খোলা আছে বলেই  আমরা এখন ক্রয়-আদেশ পাচ্ছি। বেশকিছু অর্ডার জমে আছে। শিপমেন্ট প্রসেস করা হয়েছে। তৈরি পোশাক ডেলিভারি দেওয়ার সময় এসে যাচ্ছে। এখন কারখানা বন্ধ হলে সব ভেস্তে যাবে।’

প্রসঙ্গত, গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে কারখানা বন্ধ হওয়ায় গ্রামে ছুটে গিয়েছিলেন হাজার হাজার গার্মেন্টকর্মী। আবার বেতন দেওয়ার খবরে ট্রাকে গাদাগাদি করে ও পায়ে হেঁটে হুড়মুড় করে কর্মস্থলে ফিরে আসেন সবাই। কিন্তু  ঢাকায় পৌঁছে তারা জানতে পারেন যে, কারখানা বন্ধ। ফলে ওই সময় হাজার হাজার শ্রমিক অনিশ্চয়তায় পড়েন।

 

/জিএম/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
প্রথমবার লকডাউন চীনের বাণিজ্যিক শহর সাংহাই
প্রথমবারের মতো লকডাউনে কিরিবাতি
একজনের ওমিক্রন শনাক্তের পর পুরো বিল্ডিং লকডাউন
সর্বশেষ খবর
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
গাছশূন্য ২০ কিলোমিটার সড়ক, তাপপ্রবাহে পথচারীদের দুর্ভোগ
গাছশূন্য ২০ কিলোমিটার সড়ক, তাপপ্রবাহে পথচারীদের দুর্ভোগ
প্রথমবার মেজর লিগ সকারের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ মেসি
প্রথমবার মেজর লিগ সকারের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ মেসি
গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১৪১
গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১৪১
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ