X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

পাইকাররা বলছেন নগদ টাকার সংকট, কাঁচা চামড়া কেনার কী হবে?

গোলাম মওলা
১১ আগস্ট ২০১৯, ২৩:২৪আপডেট : ১২ আগস্ট ২০১৯, ১১:৫২

কাঁচা চামড়া কেনার ঝুঁকিতে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যারা কাঁচা চামড়া কেনেন তাদের সাধারণভাবে বলা হয় পাইকার। এই পাইকাররা ঈদের আগের রাতেও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাদের হাতে প্রয়োজনীয় টাকা নেই। কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনও বলেছেন একই কথা। তিনি রবিবার (১১ আগস্ট) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের হাতে এই মুহূর্তে সব চামড়া কেনার মতো টাকা নেই। ফলে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এবার সব চামড়া হয়ত আমরা কিনতেই পারবো না।

তিনি বলেন, ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ ট্যানারি মালিক গতবছরের চামড়ার পেমেন্ট এখন পর্যন্ত দেননি। এছাড়া আগের বছরের চামড়ারও বেশ কিছু টাকা ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা রয়েছে।

তিনি বলেন, শতভাগ টাকা পেমেন্ট করেছে এ রকম ট্যানারি আছে মাত্র এক থেকে দুইটা। তিনি উল্লেখ করেন, পাইকারদের হাতে টাকা না থাকলে তারা চামড়া কিনবে কিভাবে? ফলে অনেক চামড়া এবার নষ্ট হয়ে যাবে। পচে যাবে। টাকার অভাবে হয়ত চামড়ার দামও পড়ে যাবে।

জানা গেছে, মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা মূলত রক্তযুক্ত ( লবণবিহীন) চামড়া পাইকারদের কাছে বিক্রি করে। আর পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ীরা লবণ ও সব ধরনের খরচ মেটানোর পর কাঁচা চামড়া আড়তদারদের কাছে পৌঁছান। ট্যানারিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই চামড়া মূলত আড়তদারদের কাছে সংরক্ষিত থাকে। আড়তদার প্রতি পিসে ৩৫ টাকা লাভ রেখে ট্যানারিতে চামড়া পৌঁছান। যদিও ট্যানারি পর্যন্ত পৌঁছানোর খরচও বহন করতে হয় পাইকারি ব্যবসায়ীদের। ট্যানারির মালিকরা সেই চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন পণ্য বানান। এসব পণ্য বিদেশেও রফতানি করা হয়।

প্রসঙ্গত, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে সারাদেশে কয়েক লাখ মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া কিনেন। কয়েক হাজার পাইকারি ব্যবসায়ী এই চামড়া তাদের কাছ থেকে কিনে আড়তদারদের কাছে জমা রাখেন। সেখানে ভালোভাবে লবণ দেওয়ার পর প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য যায় ট্যানারিতে। এক্ষেত্রে চারবার হাত বদল হয়।

প্রথম ধাপে মৌসুমী ব্যবসায়ী বা ফড়িয়ারা কিনে নেন পশুর মালিকের কাছ থেকে। দ্বিতীয় ধাপে পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ীরা বা মধ্যস্থতাকারীরা নগদ টাকা দিয়ে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। তৃতীয় পর্যায়ে পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ীরা আড়তদারদের কাছে চামড়া জমা রাখেন এবং চতুর্থ পর্যায়ে ট্যানারি মালিকরা সেই চামড়া চূড়ান্তভাবে কিনে নেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চামড়ার এই বেচা-কেনায় কখনই লোকসান গুণতে হয় না আড়তদার ও ট্যানারির মালিককে। কিন্তু, প্রতিবছরই চামড়া কিনে প্রায় ঝুঁকিতে পড়েন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী ও পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ীরা।

দেলোয়ার হোসেনের মতে, কাঁচা চামড়ার মার্কেটে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। যে কারণে যে কোনও ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এবার হয়ত সেটাই ঘটতে যাচ্ছে। তবে এখন বলা যাবে না। ঈদের দিন সেটা বোঝা যাবে।

 

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গ্রেনাডাতেও ওয়েবস্টার-ক্যারির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া
গ্রেনাডাতেও ওয়েবস্টার-ক্যারির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি