X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেরি হলেও প্রত্যেক শ্রমিক মার্চের বেতন পাবেন: রুবানা হক

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ এপ্রিল ২০২০, ০০:২৫আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২০, ০৫:৩৪

রুবানা হক দেরি হলেও তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর প্রত্যেক শ্রমিক মার্চের বেতন পাবেন বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক। শনিবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি এ কথা তুলে ধরেন। অপর একটি বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, শ্রমিকরা যে যেখানে আছেন, সেখানেই যেন অবস্থান করেন, এটা এখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

অডিও বার্তায় রুবানা হক বলেন, শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার সময় সাধারণত মাসের সাত কর্মদিবস, যেটা ১০ তারিখে শ্রমিকরা পান। তবে প্রথমত, কোনও ব্যাংক এখন টাকা দিচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, নেগোশিয়েটিভ করতেও সময় লাগবে (৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে ঋণ পেতে)। সেক্ষেত্রে ১০ তারিখের যায়গায় ১৫ তারিখ হয়, হবে। তবে মার্চ মাসের বেতন প্রতিটি শ্রমিক পাবেন, এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। এর আগে, অপর এক অডিও বার্তায় তিনি তৈরি পোশাক কারখানাগুলো আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে রুবানা হক বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য সব কারখানার মালিক ভাই ও বোনদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’

রুবানা হক আরও বলেন, শ্রমিকরা মার্চ মাসের বেতন পাবেন। মার্চ মাসের বেতন নিয়ে কোনও অনীহার সুযোগ নেই। কোনও শ্রমিক যদি কোনও কারণে উপস্থিত না থাকেন, তাহলে মানবিক বিবেচনায় তার চাকরিও থাকবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, রাত সাড়ে আটটার দিকে অপর এক অডিও বার্তায় রফতানিমুখী পোশাক কারখানা খোলা রাখার কথা বলেছিলেন রুবানা হক। তিনি বলেছিলেন, কাজের অর্ডার থাকলে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে পারবেন মালিকরা। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এর কিছুক্ষণ পরই ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি।

এদিকে শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে পায়ে হেঁটে রাজধানীতে ফেরার বিষয়ে বিজিএমইএ’র কোনও নির্দেশনা ছিল না বলে দাবি করেছেন সভাপতি রুবানা হক। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘কোনও শ্রমিককে আসতে বলা হয়নি। কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। আর আমি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মালিকদেরকে কারখানা বন্ধের আহবান জানিয়েছি। একবারও কারখানা খোলার জন্য বলিনি। শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকেও নির্দেশনা ছিল না।’

তাহলে শ্রমিকরা কেন দলে দলে ফিরছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএ’র ডাকে তারা আসছেন না, তারা অন্য কারও ডাকে আসছে কি না, তা আমি জানি না।' তবে যারাই শ্রমিকদের আসতে বলেছেন, তারা ঠিক করেননি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

/জিএম/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
জেলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে পোলিশ নাগরিক গ্রেফতার
জেলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে পোলিশ নাগরিক গ্রেফতার
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ