অর্থবছরের মুনাফার ভিত্তিতে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড চলতি বছর ১৩০ ভাগ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে যাচ্ছে। রবিবার (১২ নভেম্বর) কোম্পানির ৫১৪তম বোর্ড মিটিংয়ে ১৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়। আগামী ১৪ নভেম্বর যমুনার ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এটি ঘোষণা করা হবে। যমুনা অয়েল কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) যমুনার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যমুনা অয়েল কোম্পানি গত অর্থবছরে ৩৪০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। এর আগের অর্থবছরে তাদের মুনাফার পরিমাণ ছিল ১৮৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় সরকার গত বছর ৫০ ভাগ হারে দেশীয় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তেল কোম্পানিগুলোর তেল বিক্রির কমিশন বেড়ে যায়। এতে মুনাফার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
এককভাবে সাধারণ ভোক্তার জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তেল আমদানি করে। বিপিসির আমদানি করা তেল পদ্মা, মেঘনা এবং যমুনা তিনটি কোম্পানি বিপনন করে। তিনটি কোম্পানিই রাষ্ট্রায়ত্ত। তবে শেয়ার বাজারেও কোম্পানিগুলো শেয়ার ছেড়ে আমানত সংগ্রহ করেছে। এজন্য প্রতি বছর শেয়ার হোল্ডারদের মুনাফা বণ্টন করে কোম্পানিটি। সরকারি কোম্পানি হিসেবে এবার কিছুটা বেশিই মুনাফা করেছে যমুনা অয়েল কোম্পানি।
সূত্রমতে, পদ্মা, মেঘনা এবং যমুনার পাশাপাশি শেয়ার বাজার থেকে আমানত সংগ্রহ করেছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি, বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি)। রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার বাজারে অবমুক্ত করার নির্দেশনা রয়েছে অর্থ বিভাগের। সরকারের দিক থেকেও তাদেরকে চাপের মধ্যে রাখা হয়েছে। নানা জটিলতার কারণে শেয়ার বাজারে আসা থেকে নিজেদের দূরে রেখেছে সব কোম্পানি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের মোট ২৩টি কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানি শেয়ার বাজারে নিজেদের শেয়ার অবমুক্ত করলে দেশের শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়াতো বলে প্রত্যাশা করা হয়।