উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক অর্থছাড়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা যোগ হওয়ায় রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ২৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
রবিবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ অর্থ সহায়তা ব্যালান্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) অনুযায়ী রিজার্ভ হিসাবের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ জুন পর্যন্ত বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। ওইদিন বিশ্বব্যাংকের ৩৫০ মিলিয়ন ডলার যোগ হওয়ায় রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ২২ দশমিক ৩২ বিলিয়নে। এরপর আইএমএফ-এর ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার এবং এআইআইবি-এর ৮০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ রিজার্ভে যুক্ত হয়। এডিবির অর্থছাড়ও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক হালনাগাদ তথ্যে আরও দেখা যায়, ২৯ জুন পর্যন্ত দেশের গ্রোস রিজার্ভ বা মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে বিপিএম৬ অনুযায়ী হিসাব করা মোট রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার এবং নিট রিজার্ভ বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।