বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৬০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকছে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। রবিবার(২০ জুন) অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে গত ১৬ মে উৎপাদিত বিদ্যুতের হিসাব উল্লেখ করে সিপিডি এই তথ্য তুলে ধরেছে।
সিপিডি বলছে, ওইদিন অধিকাংশ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়নি। ক্যাপাসিটি পেমেন্টের জন্য কোনও কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার ইউনিট প্রতি ব্যয় হয়ে যায় দেড় হাজার টাকা। তাই ২০৩০ সাল সামনে রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন করা দরকার।
বিদ্যুৎ খাত নিয়ে তুলে ধরা গবেষণা নিবন্ধে সিপিডি বলছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার অধিকাংশ অলস পড়ে থাকছে। বিদ্যুৎ না নিলেও চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রেখে টাকা দিতে হচ্ছে। এটি ‘ক্যাপাসিটি পেমেন্ট’ হিসেবে পরিচিত, যা বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর ফলে লোকসানের চক্র থেকে বের হতে পারছে না বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরেন সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র আরও আগেই অবসরে যাওয়ার কথা ছিল, সেগুলো কেন এখনও চালু আছে? এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অব্যবহৃত থাকার জন্য বিতরণ ব্যবস্থার দায় কতটুকু, তা খুঁজে দেখা দরকার।
ওয়েবিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।