X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৭ বৈশাখ ১৪৩২

চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি, তবু হবে লোডশেডিং

সঞ্চিতা সীতু
২৮ মার্চ ২০২২, ০৮:০০আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, ১৫:৩৮

গ্রীষ্মের রোদ তেঁতে উঠতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়। সরকারের হিসেব বলছে, চাহিদার তুলনায় অন্তত ১০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। এরপরও জিরো লোডশেডিং আওয়ার বা শূন্য লোডশেডিং এ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

গ্রীষ্ম এবং সেচ মিলিয়ে দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা থাকে এপ্রিলে। মে থেকেই বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কমতে থাকে। জুনের পর কিছুটা চাহিদা বাড়লেও বেশি জুলাই এবং আগস্টে এসে আবার কমতে শুরু করে।

এপ্রিল মাসে মোট বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াবে ১৫ হাজার ৭৬৬ মেগাওয়াট। যা গত বছর ছিল ১৪ হাজার ৭৩৫ মেগাওয়াট। এরমধ্যে ঢাকার চাহিদা ছিল ৫ হাজার ৯০৩, আর এবার হবে ৬ হাজার ৩১৬, একইভাবে চট্টগ্রামে চাহিদা ছিল ১ হাজার ৪৫৬, এবার ১ হাজার ৫৫৮, ময়মনসিংহে ছিল ৭২২, এবার ৭৭৩, সিলেটে ছিল ৫৭৪, এবার ৬১৪, কুমিল্লায় ছিল ১ হাজার ৩২৭, এবার ১ হাজার ৪২০, খুলনায় ছিল ১ হাজার ৭৬০, এবার ১ হাজার ৮৮৩, বরিশালে ছিল ২৯৩, এবার ৩১৪, রাজশাহীতে ছিল ১ হাজার ৭৫৪, এবার ১ হাজার ৮৭৬, রংপুরে ছিল ৯৪৬ , এবার ১ হাজার ১২ মেগাওয়াট চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ মার্চ) দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৩ হাজার ৩৬৯ মেগাওয়াট। রোদের তীব্রতা বাড়লে চাহিদা বেড়ে হবে ১৫ হাজার ৭৬৬ মেগাওয়াট। অর্থাৎ চাহিদা আরও ২ হাজার ৩৯৭ মেগাওয়াট বেড়ে যাবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে মূল সংকট জ্বালানি। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে মোট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ২ হাজার ২৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু এখন সরবরাহ করা হচ্ছে এর অর্ধেক ১ হাজার ১১৪ মিলিয়ন ঘনফুট। এর চাইতে বেশি গ্যাস সরবরাহ করা বেশ কঠিন বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।

অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বিকল্প হিসেবে  জ্বালানি তেল ব্যবহার করা হয়। গ্রীষ্মে চাহিদা বেড়ে গেলে বেশি মাত্রায় জ্বালানি তেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর বেড়ে যাওয়াতে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।

ফলে গ্রীষ্মে অতিরিক্ত চাহিদা প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট সৃষ্টি হলে তা মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

এই দুই কারণ ছাড়ও বিতরণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ গ্রীষ্মে লোডশেডিং করতে হয়। শহরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ করা হলেও গ্রামীণ জনপদে এই সময় লোড ম্যানেজমেন্ট করা হয়। এবারও সেই উদ্যোগ আগেভাগেই নিয়েছে সরকার।

বিদ্যুৎ বিভাগ গ্রীষ্ম এবং সেচকে সামনে রেখে যে পুস্তিকা প্রকাশ করেছে তাতে বলা হচ্ছে ‘চলতি মৌসুমে অনুরূপ লোড ম্যানেজমেন্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের বর্তমান পরিস্থিতিতে লোডশেডিং হবে না বলে আশা করা যায়। হলেও তা সহনীয় পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্থাৎ এবারও লোডশেডিং হবে না এই কথা জোর দিয়ে বলতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। বিভাগের পুস্তিকা বলছে লোডশেডিং হবে। কিন্তু তা থাকবে সহনীয় মাত্রায়।

/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জুলাই ঘোষণাপত্র না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
জুলাই ঘোষণাপত্র না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না গ্রেফতার
শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না গ্রেফতার
জাবির সব দরজা খোলা: আনচেলত্তি
জাবির সব দরজা খোলা: আনচেলত্তি
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে
সর্বাধিক পঠিত
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ‘ভাই হিসেবে মেরেছি’
লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ‘ভাই হিসেবে মেরেছি’
আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে বিরতি ঘোষণা, শাহবাগেই ঘুমিয়ে পড়েছেন হাসনাত
আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে বিরতি ঘোষণা, শাহবাগেই ঘুমিয়ে পড়েছেন হাসনাত
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক অভিযান শুরু
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক অভিযান শুরু