অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ধরন্তি হাওর নজর কাড়ছে পর্যটকদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে সরাইল উপজেলায় অবস্থিত ধরন্তি হাওর। প্রতিদিন বিকেলেই নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখার জন্যে হাওরের উপর দিয়ে চলমান সরাইল-নাসিরনগর সড়কের দুই পাশে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ।
ধরন্তি হাওরে উপস্থিত পুরান ঢাকার বাসিন্দা ফরিদ মিয়া এবং হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বাসিন্দা রক্সি আক্তার জানান, এই হাওরে সমুদ্রের বেলাভূমি না থাকলেও সৌন্দর্যের দিক থেকে এটি অতুলনীয়। এজন্যই অনেকে একে মিনি কক্সবাজারও বলে থাকে! ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বাসিন্দা লিলি আক্তার বলেন, ঈদের আনন্দের রেশ এখনও কাটেনি। তাই ধরন্তি হাওরে বেড়াতে এসেছেন। হাওরের দিগন্ত জোড়া থৈ থৈ পানি আর মেঘের লুকোচুরি খেলায় বর্ষার বিকেলটা তার কাছে মোহময় হয়ে উঠেছে।
হাওরে ছোট ডিঙ্গি নৌকা ও স্পিড বোট নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যাবে। দর্শনীয় স্থানটিকে পর্যটকদের বসার স্থান নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মানের দাবী জানিয়েছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অনেক পর্যটক।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা জানান, ধরন্তি হাওরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্যে তিনি সংসদে একাধিকবার দাবি জানিয়েছেন। আগামী বছরের মধ্যে এই হাওরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে বলে তিনি আশা করেন।
দিগন্তজোড়া এই হাওরের পশ্চিম প্রান্তে মেঘনা আর পূর্ব প্রান্তে তিতাস নদসহ অসংখ্য খালবিল জলাশয় রয়েছে। প্রতিবছর বৈশাখ মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত ছয়মাস থৈ থৈ পানি থাকে এই হাওরে ।
/এনএ/