X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুখোমুখি মনির খান: ২৪ বছরের পুরনো মুখ খোঁজার গল্প

মাহমুদ মানজুর
২৫ নভেম্বর ২০২০, ১৮:২০আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৩৯

মনির খান ২৫ নভেম্বর ১৯৯৬ সাল, বিউটি কর্নারের ব্যানারে ‘তোমার কোন দোষ নেই’ অ্যালবাম প্রকাশ হয়। শিল্পীর নাম মনির খান। কথা-সুরে মিল্টন খন্দকার। সুরকারকে চেনা গেলেও তরুণ শিল্পী একেবারেই নবজাতক, অচেনা। যার কণ্ঠ ও গানে নতুন গল্পের খোঁজ মিলেছে; শ্রোতাদের কান হয়ে মনে লেগেছে ভিন্ন আরাম।
এরপর গেল দুই যুগ অথবা ২৪ বছরে প্রকাশ পেয়েছে সেই মনির খানের ৪৩টি একক অ্যালবাম। যার প্রতিটি হিট। রয়েছে তিন শতাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামের রেকর্ড। শূন্য দশকের পুরোটা তিনি শাসন করেছেন একসঙ্গে, অডিও ও প্লেব্যাকে। পেয়েছেন তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। নেমেছেন রাজনীতির মাঠেও। যদিও দ্রুত সময়ে উঠেও এসেছেন।
তবে দুই যুগ পর পুরনো কাসুন্দি নতুন করে ঘাঁটার কারণ অন্য কিছু। সম্ভবত উপমহাদেশে এবারই প্রথম, কোনও কণ্ঠশিল্পী ২৪ বছর পর খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রথম অ্যালবামের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি মানুষকে। সুরকার-প্রযোজক-রেকর্ডিস্ট তো থাকছেই। এই খোঁজার তালিকায় রয়েছে তখনকার স্টুডিওতে চা এগিয়ে দেওয়া লিকলিকে ছেলেটিসহ অ্যালবামের পোস্টার লাগানো যুবক পর্যন্ত! যাদের সবাইকে একমঞ্চে তুলে কৃতজ্ঞতা জানাতে চান মনির খান। দিতে চান সম্মাননা ক্রেস্ট।
এই যাত্রায় মূলত এসব আলাপই হলো বাংলা ট্রিবিউন মুখোমুখি’তে—
বাংলা ট্রিবিউন: এই বিশেষ আয়োজনটি ২৬ নভেম্বর, মানে কালই করছেন।
মনির খান: জি। কাল বিকাল ৪টার দিকে শুরু করতে চাই। এটা আসলে আমাদের পুরনো মানুষগুলোর পুনর্মিলনও বলতে পারেন। নানা কারণে এমনিতেই দেখা হয় না বহু বছর, এরমধ্যে গেলো এক বছর তো ঘরেই আটকে আছি।
বাংলা ট্রিবিউন: আপনার উদ্যোগটি বেশ আন্তরিক এবং ইন্টারেস্টিংও বটে! ঠিক কারা কারা থাকছেন আপনার এই আমন্ত্রণে?

মনির খান: স্টুডিওতে যাওয়ার পর রোজ যে ছেলেটা মাইক্রোফোন সেট করে দিতো, যে ছেলেটাকে বললেই চা, পুরি দৌড়ে এনে দিতো, যে ছেলেটা সারা রাত ভ্যান নিয়ে ঘুরে ঘুরে গোটা শহরে পোস্টার লাগাতো, যে ছেলেটা আমার ক্যাসেট ও পোস্টারগুলো গোটা দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করতো—আমি এই মানুষগুলোকে আসলে এক করতে চেয়েছি। ওদের আমি দেখতে চাই। ওদের প্রতি মাথানত করে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। প্রত্যেকটা মানুষকে জড়িয়ে ধরতে পারলে আমি সবচেয়ে আরাম পেতাম। কিন্তু করোনায় তো সেটার সুযোগ নেই। চোখের দেখা হোক আমাদের, সেটাইবা কম কী?
বাংলা ট্রিবিউন: আপনার এই আয়োজন কি তবে প্রোডাকশন বয় কেন্দ্রিক! এখানে স্টুডিও ম্যানেজার, রেকর্ডিস্ট, সুরকার, গীতিকার, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার বা প্রযোজকের অংশগ্রহণ থাকছে না?

মনির খান: অবশ্যই থাকবেন। আগের জবাবে আমি উদাহরণের জন্য বলেছি। মানে গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, রেকর্ডিস্ট, যন্ত্রসংগীত শিল্পী- উনাদের বেশিরভাগের সঙ্গেই আমার যোগাযোগ বা সম্পর্ক এখনও রয়েছে। তারা তো থাকবেনই- যারা প্রথম অ্যালবামটির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। আমি বলছি, পোস্টার লাগানো ছেলেটাকেও আমি এই তালিকায় রাখতে চাই।
মনির খান বাংলা ট্রিবিউন: অসাধারণ সিদ্ধান্ত। আবেগেরও। কিন্তু এই ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে পাওয়া তো বেশ জটিল। বেশিরভাগ প্রফেশনাল স্টুডিও আর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তো বন্ধ প্রায়।
মনির খান: গত দুই মাস ধরে আমি এই মানুষগুলোকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। অনেকের নাম মনে নেই, চেহারা মনে আছে। অনেকের কথা ভুলেও গিয়েছি, অন্যজন মনে করিয়ে দিয়েছে। এভাবে প্রায় সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে গেছে জীবিকার দায়ে। কারণ, ঢাকার বেশিরভাগ প্রফেশনাল সংগীত হাউজ তো আর নেই। আমি চেষ্টা করেছি অডিও আর্ট হয়ে বিউটি কর্নার সংশ্লিষ্ট ১৯৯৬ সালের মানুষগুলোকে বের করার।
বাংলা ট্রিবিউন: কতজনকে পেয়েছেন?
মনির খান: এরকম ২০ জনের মতো পেয়েছি। যাদের সবাইকে আমি ২৬ তারিখের আয়োজনটিতে চাই। তাদের সঙ্গে কিছুটা সময় গল্প করতে চাই।
বাংলা ট্রিবিউন: অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা কেমন? কোথায় করছেন।
মনির খান: করছি সেগুনবাগিচার কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলাতে। এদিন আমি তাদের সবাইকে মঞ্চে তুলতে চাই। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবো। ক্রেস্ট দেবো। সবার কথা শুনবো। কারণ, এভাবে কেউ তাদের ডাকেনি। কোনোদিন মঞ্চে ওঠেনি বেশিরভাগ। অথচ আজ আমরা যারা মঞ্চ মাতিয়ে চলেছি যুগের পর যুগ, তাদের তৈরির কারিগর এরাই।
বাংলা ট্রিবিউন: ২৪ বছর কেটে গেলো। এখনও গান করছেন নিয়মিত। তারচেয়ে বড় কথা, শুরুটা করেছেন মিল্টন খন্দকারের কথা ও সুরে। আপনার প্রকাশিত শেষ গানটিও তারই কথা-সুরে। এটা কিন্তু বিরল, এই দেশে।
মনির খান: আমি মিল্টন ভাইয়ের সঙ্গে থাকতে পেরেছি। এটা আমার কাছে অন্যরকম লাগে। আমাদের বন্ধনটা রয়ে গেলো। এটাও আমার শিল্পী জীবনের একটা প্রশান্তি। তিনি আমার সংগীত পিতা। তাকে ছেড়ে যাওয়ার সাহস আমার হয়নি আজও। এটা আস্থা, শ্রদ্ধা আর সততার বিষয়। আমরা দুজনেই সেটি পালন করার চেষ্টা করেছি গেলো ২৪ বছর।
বাংলা ট্রিবিউন: ফেলে আসা ২৪ বছর নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন?
মনির খান: ফেলে আসিনি তো। ২৪ বছরের পুরোটা ধরে রাখতে চেয়েছি বলেই ২৬ নভেম্বরের এই আয়োজন। মিল্টন ভাই আছেন আমার পাশে। মানে ২৪ বছরই আমার কাছে আছে।
এবার আপনার প্রশ্নের মূল উত্তরে আসি। প্রতিটা শিল্পী বা গায়কের একটাই লক্ষ্য মানুষের অন্তরে ঠাঁই পাওয়া। আমি বলতে পারি, সেটা আমি পেরেছি। ভালো কর্ম বিফলে যায় না- এটা আমার ও মিল্টন ভাই দিয়ে প্রমাণিত। আমি আমাদের কথাই বলছি। এমন আরও অনেকেই আছেন, যারা ভালো গান করছেন।
আমরা প্রতিনিয়তই প্রশ্নের মুখে পড়ি, ভাই আগের মতো গান কেন হচ্ছে না। আমি জবাবে বলি, আগের মতো গান হবে না- যদি আগের মতো মান-মর্যাদা রক্ষা করে গানটাকে সৃষ্টি না করি। আমরা সবাই এখন সময় নিয়ে ব্যস্ত, সৃষ্টি নিয়ে ব্যস্ত নই। মিল্টন ভাই ও আমি সবসময় চেষ্টা করি, সৃষ্টিটা আধুনিক ও মার্জিত করার। অত্যাধুনিক সৃষ্টিতে আমরা বিশ্বাস করিনি।
যেমন মান্না দে, কিশোর কুমার, হেমন্ত, লতাজির গান- যখনই শুনি মনে হবে গতকাল তৈরি হলো! সেটাই আমি চেয়েছি। সেই কারণেই ২৪ বছর পার করতে পেরেছি স্বাভাবিক গতিতে। এখনও গাইছি নিয়মিত।
মনির খান ও মিল্টন খন্দকার বাংলা ট্রিবিউন: গান তো করছেনই। কিন্তু চলমান মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে কেমন দেখছেন। এখন তো আর আগের মতো প্রোডাকশন-ডিস্ট্রিবিউশন, ১২ গানের অডিও অ্যালবাম- এসব নেই। এখন এক হিসেবে সবাই সবকিছু।
মনির খান: এটা হচ্ছে একটা বিল্ডিং, তখনই টিকে থাকবে দীর্ঘ সময়, সেটার ফাউন্ডেশন যদি মজবুত থাকে। এটা জানার জন্য গবেষণা করতে হয় না। একটা হারমোনিয়াম, একটা তবলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- এটা জানা আবার খুব জরুরি। যেটার জন্য গবেষণা বা সাধনার প্রয়োজন আছে।
এখনও বাংলাদেশের অনেক ওস্তাদরা বেঁচে আছেন। তাদের কাছে যেতে হবে। নিজেকে গুরু ভাবলে হবে না। মনে রাখতে হবে, এটা গুরুমুখী বিদ্যা।
সেই জায়গাতে তো আমরা নেই। আমরা এখন রেজিস্ট্রেশন করে পাঁচটা গান মুখস্থ করে কীভাবে টপটেনে থাকবো, বিদেশে ট্যুর করবো, গাড়ি কিনবো, বিয়ে করবো এবং হারিয়ে যাবো সেই প্রতিযোগিতায় আছি। কিন্তু নিজের অস্তিত্ব টিকে রাখতে হলে গুরুর কাছে যেতে হবে।
মাকে মা বলতে হবে, মাম বললে হবে না। মাম বললে পানির বোতল এগিয়ে দেবে মানুষ!
বাংলা ট্রিবিউন: তার মানে ইন্ডাস্ট্রি ঠিকঠাক চলছে না। সেটুকু স্পষ্ট। আগামী ২৪ বছরের প্ল্যান কী করলেন?
মনির খান: আমি সবসময় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে চলি। ২০১৮ সালে মিল্টন ভাই আর আমি একটা গোপন চুক্তি করি। চুক্তিটা হলো এমন, ১০০ গান করবো আমরা। এরমধ্যে ৩৫/৪০টা গান হয়ে গেছে। বাকি ৬০টি গান চলমান আছে। গানগুলো নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে যাচ্ছি।
বাংলা ট্রিবিউন: নিজেদের উদ্যোগে নতুন ১০০ গান তৈরি ও প্রকাশ করা সহজ বিষয় নয়। এরজন্য সাহসটাও জরুরি। কী ভেবে?
মনির খান: যেহেতু বেঁচে আছি সুস্থ আছি, জনগণের মনেও আছি- পৃথিবী যত ফাস্ট হোক আর স্লো হোক, আমি আমার গতিতে শ্রোতাদের গান শুনিয়ে যাবো। যতদিন শরীরে কুলায়। আমার কাজের ধরন কিন্তু বদলায়নি।

হ্যাঁ, সাহসটা খুব দরকারি এখানে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এসে অন্যের দিকে না তাকিয়ে উদ্যোগটি নিয়েছি। এবং সেটির সফলতাও পাচ্ছি। ২০২১-এর মধ্যে এই একশ’ গানের প্রজেক্ট শেষ হবে। এরপর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবো।
স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে মনির খান বাংলা ট্রিবিউন: রাজনীতি। তুমুল অ্যাকটিভ ছিলেন মাঝে। এরপর আবার সরে এলেন ঘোষণা দিয়ে। এখন কী ভাবছেন?
মনির খান: রাজনীতি আজীবনের জন্য ক্লোজ করেছি ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর। প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ২২টা ক্যামেরার সামনে বলেছি, আজকে থেকে আমি শুধুই শিল্পী মনির খান। আমার আর কোনও পরিচিতি নেই। ফলে রাজনীতি নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ নেই। আমি কথায় কথায় মুখ বদলানোর মানুষ নই।
বাংলা ট্রিবিউন: কিন্তু এমন সিদ্ধান্তের পেছনে রাগ, অভিমান নাকি ব্যর্থতা?
মনির খান: রাগ বা অভিমান নয়। এটা আমারই ব্যর্থতা। কাউকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই। আমি পারিনি, যা চেয়েছি। মানুষ মাত্রই তো ভুল। আমিও ভুল করেছি। রাজনীতি আমার জীবনের অন্যতম ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
বাংলা ট্রিবিউন: আপনার সমর্থিত দল ক্ষমতার বাইরে লম্বা সময়, সে জন্য!
মনির খান: না না। প্লিজ অন্যদিকে নেবেন না কথাগুলো। কারণ, আমি খুব সিরিয়াস এই বিষয়ে।

আজ আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, রাজনীতি বা দলীয় রাজনীতি থেকে সরে আসার কারণ। আমি লক্ষ্য করেছি, এই রাজনীতি করতে গিয়ে আমি শ্রোতাদের ভাগ করে ফেলেছি।
এটা একজন সত্যিকারের শিল্পীর জন্য ভয়ংকর ভুল ও বেদনার। এই বিষয়টি যখন বোধগম্য হলো, তখন আমার দুই একজন গুরু বা ওস্তাদের পরামর্শ নিলাম। দেখলাম উনারাও আমার রাজনীতিক পরিচয় নিয়ে খুশি নন। তখনই আমি ঘোষণা দিয়ে ফিরে আসি রাজনীতি থেকে। এরপর থেকে আমি আবার গানের মনির খান। দেশের মনির খান। আমি আর কোনও দলের নই।

বাংলা ট্রিবিউন: ধন্যবাদ, সময় দেয়ার জন্য। অভিনন্দন এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।

মনির খান: আপনাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা। আমি প্রত্যাশা করছি এই অনুষ্ঠানে আপনারাও উপস্থিত থাকেন।


/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
একসঙ্গে ১০ গান নিয়ে হাজির মনির খান
একসঙ্গে ১০ গান নিয়ে হাজির মনির খান
‘সবসময় বলতেন, তার দুটি ছেলে উপল ও মনির’
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রয়াণ‘সবসময় বলতেন, তার দুটি ছেলে উপল ও মনির’
দিলারা জামান-আরজুকে নিয়ে মিউজিক ভিডিও
দিলারা জামান-আরজুকে নিয়ে মিউজিক ভিডিও
ব্যাংককে জেলের ভূমিকায় কণ্ঠশিল্পী মনির খান (ভিডিও)
ব্যাংককে জেলের ভূমিকায় কণ্ঠশিল্পী মনির খান (ভিডিও)
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
১৬ বছর পর জেনস সুমনের ফেরা (ভিডিও)
১৬ বছর পর জেনস সুমনের ফেরা (ভিডিও)
মা হারালেন বেবী নাজনীন
মা হারালেন বেবী নাজনীন
ওমর: ‘নায়িকাবিহীন’ এক থ্রিলার
সিনেমা সমালোচনাওমর: ‘নায়িকাবিহীন’ এক থ্রিলার