X
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
৩১ বৈশাখ ১৪৩২

তথ্য ও প্রমাণ থাকার পরেও তদন্তে ধীরগতি: শিক্ষার্থীর বাবা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:২৫আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৫৩

তথ্য ও প্রমাণ থাকার পরেও মামলার অগ্রগতি খুব একটা নেই। ধীরগতিতে তদন্তকাজ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজধানীর কলাবাগানে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে বাদ আসর শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়ার পর বাংলা ট্রিবিউনকে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘যখন ছেলেটা (ফারদিন ইফতেখার দিহান) আদালতে জবানবন্দি দিলো যে সে নিজে এই কাজ করেছে। এরপরও এত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা আসে কীভাবে? সে জড়িত কী জড়িত না, কেন প্রশাসন নিশ্চিত হতে পারছে না। সে তো নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছে জড়িত। তাই যত দ্রুত সম্ভব মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশকে মামলার অগ্রগতির কথা বলতে গেলেই তারা জানায়, ডিএনএ রিপোর্ট হাতে আসার পর অনেক কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু এই ডিএনএ রিপোর্ট তো সহজে আসছে না। প্রথমে বললো, কয়েক দিন সময় লাগবে, তারপরে বললো পনের দিন লাগবে, এখন বলছে দুই মাস। আমরা আশঙ্কা করছি, মামলার যদি এখন কোনও অগ্রগতি না হয়, পরবর্তীতে কিছুই হবে না।’

থানা হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া আসামির তিন বন্ধুর সম্পর্কে শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘আমরা এখনও মনে করি এ ঘটনার সঙ্গে ওই তিন ছেলে জড়িত। আমরা উকিলের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। আমরা আদালতে দরখাস্ত দেবো তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। আগামী ২৬ তারিখে মামলা আবারও আদালতে উঠবে। সেদিন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ 

আসামি পক্ষের পরিবার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তারা এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আর যোগাযোগ করবেই বা কীভাবে? সমস্যা তো গোড়াতেই।’

এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। সেখানে নিহত শিক্ষার্থীর বাবা-মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি রাতে এ ঘটনায় দিহানকে আসামি করে কলাবাগান থানায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ফারদিন ইফতেখার দিহান বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে স্কুলছাত্রীকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ৬৩/৪, লেক সার্কাস ডলফিন গলি, পান্থপথ, কলাবাগানের ফাঁকা বাসায় মেয়েটিকে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। তখন বিবাদী দিহান ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যায়। সেখানে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত হাসপাতালে যায়।

খবর পেয়ে দিহানের তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদেরও আটক করে এবং চার জনকে কলাবাগান থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। অভিযুক্ত দিহান বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।

আরও পড়ুন:

দিহানের বয়স নিয়ে বিভ্রান্তি কেন?

কে এই ফারদিন দিহান?

লজ্জিত দিহানের পরিবার, দেয়নি আইনজীবীও

ঘটনার পর ভাইকে ফোন করে যা বলেছিল দিহান

কলাবাগানে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা: দিহানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

ধর্ষণকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মেয়েটিকে হাসপাতালে নেয় দিহান

কলাবাগানের ঘটনায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে মামলা

কলাবাগানে কিশোরী হত্যা, গ্রেফতার ৩

রাজধানীতে জন্মদিনে ডেকে কিশোরীকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ

/এসএইচ/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
৪১৮ যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে উড়লো প্রথম হজ ফ্লাইট
৪১৮ যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে উড়লো প্রথম হজ ফ্লাইট
‘আগামীর বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখবে বাংলা ট্রিবিউন’
‘আগামীর বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখবে বাংলা ট্রিবিউন’
বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র পদে শপথ না পড়াতে হাইকোর্টে রিট
প্রতারণার অভিযোগবিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র পদে শপথ না পড়াতে হাইকোর্টে রিট
রংপুরে কমিউনিটি লাইব্রেরি ও স্কুল নির্মাণে বাধা, বিশিষ্টজনদের প্রতিবাদ
রংপুরে কমিউনিটি লাইব্রেরি ও স্কুল নির্মাণে বাধা, বিশিষ্টজনদের প্রতিবাদ
সর্বাধিক পঠিত
বাড়লো স্বর্ণের দাম, বুধবার থেকে কার্যকর
বাড়লো স্বর্ণের দাম, বুধবার থেকে কার্যকর
সাবেক সেনা সদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী, ধৈর্য ধরার পরামর্শ
সাবেক সেনা সদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী, ধৈর্য ধরার পরামর্শ
রাজধানীতে ৩০০ লিমিটেডের যাত্রা শুরু
রাজধানীতে ৩০০ লিমিটেডের যাত্রা শুরু
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ
হেরেছিলেন ১১ ভোটে: সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ে ৪৬৬ ভোটে বিজয়ী
হেরেছিলেন ১১ ভোটে: সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ে ৪৬৬ ভোটে বিজয়ী