X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
সংসদে বিল পাস

দেওয়ানি আদালতের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বাড়লো

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:১৭আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:১৭

দেওয়ানি মামলা বিচারের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বিচারকদের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বাড়িয়ে ‘দ্য সিভিল কোর্টস (সংশোধন), ২০২১’ বিল সংসদে পাস হয়েছে। এক্ষেত্রে আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার ক্ষেত্রভেদে বিদ্যমান আইনের ছয় থেকে সাত গুণ বাড়ানো হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

গত ১৯ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

একজন সহকারী জজ এতদিন দুই লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের (সম্পত্তি বা অর্থে যে অংকের টাকা নিয়ে বিরোধ) মামলা নিষ্পত্তি করতে পারতেন। এখন সেই এখতিয়ার বাড়িয়ে ১৫ লাখ টাকা করার কথা বলা হয়েছে পাস হওয়া বিলে। একইভাবে জ্যেষ্ঠ সহকারী জজের বিচারিক এখতিয়ার চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা এবং আপিল শুনানির ক্ষেত্রে জেলা জজের এখতিয়ার পাঁচ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে।

পাঁচ কোটি টাকার কম মূল্যমানের কোনও মামলায় যুগ্ম-জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কোনও আপিল বা কার্যক্রম হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন থাকলে তা জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরের বিধান রাখা হয়েছে পাস হওয়া বিলে।

আগে পাঁচ কোটি টাকার কোনও আপিল হলে হাইকোর্টে যাওয়া লাগতো। আইন সংশোধন হলে জেলা জজ সেই আপিল শুনানি করতে পারবেন বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে।

২০১৬ সালে আইন করে সিভিল কোর্টগুলোর বিচারিক এখতিয়ার বাড়ানো হলেও হাইকোর্ট তা স্থগিত করে দেয়। ফলে নতুন করে আইন সংশোধন করা হচ্ছে।

বিলে ২০১৬ সালের ওই সংশোধন রহিত করে একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। সরকার ২০১৬ সালেও টাকার অংকে বিচারিক এখতিয়ার একই পরিমাণ বাড়িয়ে আইন সংশোধন করেছিল। কিন্তু তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন হলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সরকারের ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করে দেয়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী ২০১৬ সালের সংশোধনী উচ্চ আদালতে বাতিল হওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, প্রশাসনিক জটিলতাসহ বিচারপ্রার্থী জনগণের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে সরকার আইনটি সংশোধন আবশ্যক মনে করছে।

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিএনপির হারুনুর রশীদ এতদিন পরে নতুন বিল কেন আনা হয়েছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ২০১৬ সালে হাইকোর্ট এটি স্থগিত করেছে। প্রায় পাঁচ বছর পর নতুন আইন আনলেন কেন?

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, এই আইনটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছে। বাতিল করেনি। বাতিল না হলে নতুন বিল আনলেন কেন?

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা একটা আইন করি। তারপর রিট হয়। পছন্দ না হলে সংসদে পাস হওয়া বিল বাতিল করে দেয়। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।

এসব কথার জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রিট করার অধিকার সংবিধান দিয়েছে। রিটে কোনও সমস্যা নেই।

আইনমন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালের বিলটি নিয়ে উচ্চ আদালতের সঙ্গে সরকারের ‘আউট অব কোর্ট’সেটেলমেন্ট হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, তারা নতুন করে আইন প্রণয়ন করবে। তখন হাইকোর্ট জানিয়েছে তারা নতুন আইন দেখে আগের বিষয়টির বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, আদালত রায় দেবেন। সেটা তাদের কাজ। আমি সেটা বলতে চাই না। তাই বললাম, তারা ব্যবস্থা নেবেন।

 

 

 

/ইএইচএস/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা