X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শব্দদূষণ রোধে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই: পরিবেশমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৪৪আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৪৪

সচিবালয়ের চারপাশসহ সারা দেশের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে  কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। মন্ত্রী এ সময় শব্দদূষণ রোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশনা দেন।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের  ২০২০-২১ অর্থবছরের  বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-র বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ভার্চুয়াল মাসিক সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. একেএম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দফতরের প্রধান ও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা আলোচনায় অংশ নেন। সভায়  চলমান প্রকল্পগুলো যথা সময়ে ও যথা নিয়মে সম্পন্ন করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক’ প্রকল্পের পরিচালক ও পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘‘সচিবালয়ের চারপাশ ও আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় ‘নীরব এলাকা’ বাস্তবায়ন করতে অতি শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

হাতি নিধন রোধের বিষয়ে ‘বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্থল উন্নয়ন’  প্রকল্পের পরিচালক মিহির কুমার দে বলেন, ‘চলমান প্রকল্পে হাতি নিধন রোধ বিষয়ে কোনও কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও বন বিভাগের নিয়মিত কার্যক্রমের আওতায় হাতি নিধন রোধে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে।  এ বিষয়ে ব্যাপক ভিত্তিতে কাজ করার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে, যা অনুমোদিত হলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়ক হবে।’

পরিবেশমন্ত্রীর এক প্রশ্নের জবাবে ‘ইন্টিগ্রেটিং কমিউনিটি বেইজড ফরেস্ট্রেশন অ্যান্ড রিফরেস্ট্রেশন' প্রকল্পের পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন)  মাহমুদ হাসান জানান,  উপকূলের সর্বাধিক বিপন্ন ৫টি জেলার ৮টি উপজেলায় ১০ হাজার ৫শ’ পরিবারের প্রায় ৬০ হাজার মানুষের জীবিকায়নে জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও প্রশংসিত হয়েছে।  তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের আওতায় বন বিভাগের মাধ্যমে ৩৬০টি পুকুরে থ্রি এফ মডেল (ফরেস্ট, ফিস, ফ্রুট) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে ৩৪০টি পরিবারে জলবায়ু সহনশীল কৃষিকাজ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে।  এছাড়া মৎস্য অধিদফতরের মাধ্যমে ৩৪০টি পরিবারে জলবায়ু সহনশীল মৎস্য প্রদর্শনী খামার স্থাপন এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার জন্য আড়াই হাজার খানায় হাঁস, মুরগি, টার্কি পালনের ব্যবস্থাসহ একটি করে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।’

/এসএনএস/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
পরিবারের অভাব দূর করতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন রাকিব
পরিবারের অভাব দূর করতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন রাকিব
কেমন চলছে ভারতের লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোট?
কেমন চলছে ভারতের লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোট?
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ