X
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
৬ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের নীরব বিপ্লব: এখন কি উদ্ভাবনের পালা?

মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম
২০ জুন ২০২৫, ১৮:৩৩আপডেট : ২০ জুন ২০২৫, ১৮:৩৩

বিগত বেশ কয়েক দশকে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বেশ শক্তিশালী অবস্থান করে নিয়েছে। দেশের প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ ওষুধের চাহিদা মেটায় এই শিল্প। ১৫০টিরও বেশি দেশে সাশ্রয়ী জেনেরিক ওষুধ রফতানি করে। কিন্তু নতুন ওষুধ উদ্ভাবনে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে নানান স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। বাড়ছে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ও মহামারির আশঙ্কা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ হতে পারে বায়োমেডিক্যাল উদ্ভাবনের কেন্দ্র। ওষুধ উদ্ভাবনে বিনিয়োগ শুধু অর্থনৈতিক সুযোগ নয়, নৈতিক দায়িত্বও। কারণ, দেশে সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি ও বোঝা দুটোই বেশি।

ওষুধ উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া ধৈর্যের এক লড়াই। একটি ওষুধ ল্যাব থেকে বাজারে আনতে সাধারণত ১০ থেকে ১৫ বছর লেগে যায়। এর মাঝে পাড়ি দিতে হয় নানান কঠিন ও দীর্ঘ পথ। প্রথমে রোগের লক্ষ্যবস্তু খুঁজে বের করা হয় (যেমন: ভাইরাসের প্রোটিন)। তারপর অণু নকশা করে প্রাণী ও গবেষণাগারে পরীক্ষা হয়। তিন ধাপে মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়। এই ট্রায়াল শেষে মাত্র ১২ শতাংশ ওষুধ অনুমোদন পায়। পুরো প্রক্রিয়ায় খরচ হয় অন্তত ২.৬ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি। কিন্তু সাফল্য এনে দেয় বৈপ্লবিক চিকিৎসা, বৈজ্ঞানিক সাফল্য, লাভজনক প্যাটেন্ট।

বাংলাদেশ ওষুধ উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করলে তিনটি সুযোগ বিদ্যমন: অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য ও দক্ষতার বিকাশ। প্রথমত, এই খাতে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ জেনেরিকের বাইরে গিয়ে বৈশ্বিক ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া ডেঙ্গু, যক্ষ্মা, ক্যানসার, ডায়াবেটিসের মতো স্থানীয় রোগের সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। আর প্রয়োজনীয় গবেষণা কেন্দ্র গড়ে উঠলে মেধা পাচার কমবে। তৈরি হবে উচ্চ দক্ষ পেশাজীবী। তবে এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জও রয়েছে বিস্তর। আর সেই চ্যালেঞ্জগুলো হলো কম আর্থিক বিনিয়োগ ও বরাদ্দ, অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং  দক্ষ জনবলের ঘাটতি।

বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প যাত্রা শুরু করে ১৯৫০-এর দশকে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর এটি আরও বৃদ্ধি পায়। প্রাথমিকভাবে দেশের ২০ শতাংশ চাহিদা মাত্র পূরণ করতে পারতো, বাকি ৮০ শতাংশ আমদানি করা হতো। ১৯৮১ সালে দেশে লাইসেন্সধারী ওষুধ কারখানা ছিল ১৬৬টি। এর মধ্যে ৮টি বহুজাতিক কোম্পানি ৭৫ শতাংশ উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতো। ১৯৮২ সালের ড্রাগ কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স একটি মাইলফলক ছিল। যা ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নিষিদ্ধ করে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। ফলে স্থানীয় উৎপাদন ১৯৮১ সালে ১১০ কোটি টাকা থেকে ১৯৯৯ সালে ১ হাজার ৬৯০ কোটি টাকায় বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে, সরকার অনুমোদিত ২৫২টি ওষুধ কোম্পানি রয়েছে। যেখানে স্থানীয় কোম্পানিগুলো বাজারের ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে, যা আগে ২৫ শতাংশ ছিল। এটি দেশের ৯৭-৯৮ শতাংশ ওষুধের চাহিদা পূরণ করে।

সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে ওষুধ শিল্পের বর্তমান বাজারের আকার ৩৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। শিল্পটি প্রায় দুই লাখ মানুষকে সরাসরি এবং আরও ৫ লাখ মানুষকে পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। সব মিলিয়ে  প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ উৎপাদন, বিপণন ও খুচরা বিক্রয়ে জড়িত। দেশের শীর্ষ ১০ কোম্পানি মোট ওষুধের ৪৫ শতাংশ উৎপাদন করে, যেখানে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড উল্লেখযোগ্য, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ও ইউরোপের বিভিন্ন বাজারে ওষুধ রফতানি করে।

পোশাক শিল্পের পর ওষুধ শিল্পকে বাংলাদেশ একটি প্রধান রফতানি পণ্য হিসেবে দেখছে। বিশ্বের ৪৮টি কম উন্নত দেশের মধ্যে ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষে। তবে ২০২০ সালে রফতানি দেশের মধ্যে ৭২তম স্থানে। ২০৩৩ সাল পর্যন্ত মেধাস্বত্ব ছাড় পাওয়ার কারণে জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনে এগিয়েছে অনেক। তবে, ২০২৬ সালে এলডিসি সুবিধা হারানোর কারণে প্যাটেন্ট ওষুধ উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে, যা মূল্য বৃদ্ধি এবং জটিল জৈবিক ওষুধের প্রাপ্তি সীমিত করতে পারে। এছাড়া এ দেশে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় সীমিত। অন্যদিকে কম সংখ্যক কোম্পানির গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ রয়েছে, যা ভবিষ্যতে স্থিরতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

তবে ২০২৫ সালে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার রফতানি এবং ২০২৭ সালে ৬.৬৮ বিলিয়ন ডলার বাজার আকারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী জেনেরিক ওষুধ বাজারের এক শতাংশ দখল করলে চার বিলিয়ন ডলার এবং ১০ শতাংশ দখল করলে ৪০ বিলিয়ন ডলার রফতানি সম্ভব, যা শিল্পের বৃহৎ সম্ভাবনা নির্দেশ করে।

সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জে ৩০ বিলিয়ন ডলারের এপিআই পার্ক অনুমোদন পেয়েছে, যা শিল্পকে আরও গতিশীলতা দেবে।

ওষুধ উদ্ভাবনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাধাগুলো হলো এখানে গবেষণা ও উন্নয়নে তুলনামলক কম বিনিয়োগ,  ল্যাব, প্রাণী পরীক্ষার সুযোগ সীমিত, ফার্মাকোলজিস্ট ও ক্লিনিক্যাল বিশেষজ্ঞের অভাব এবং দুর্বল নীতি ও প্যাটেন্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগের পরিমাণ তার জিডিপির মাত্র ০.০৩ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ, উন্নত দেশ এবং বিশ্ব গড়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত জিডিপির ০.৬৫ শতাংশ, পাকিস্তান ০.১৬ শতাংশ,  শ্রীলঙ্কা ০.১১ শতাংশ  এবং নেপাল ০.৩০ শতাংশ বিনিয়োগ গবেষণা ও উন্নয়নে। উন্নত দেশগুলোর গড় বিনিয়োগ (প্রায় ২-৩ শতাংশ) উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। চীন ব্যতিক্রম হলেও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিনিয়োগ ১ শতাংশের নিচে বা সামান্য ওপরে। বিশ্ব গড় গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ হার জিডিপির প্রায় ১.৮ শতাংশ, যা বাংলাদেশের বিনিয়োগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

তবে বাংলাদেশের সুযোগও কম নয়। এ দেশের মানুষের জীনগত বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও  আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ওষুধ নিয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনে অপার সম্ভাবনা হাজির করে। এই জেনেটিক বৈচিত্র্যের কারণে এ দেশে রোগ ও ওষুধের প্রতিক্রিয়া গবেষণার আপার সুযোগ ও অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া এ দেশে প্রচলিত আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসার জ্ঞান নতুন অণু খুঁজে পেতে সাহায্য করবে, যেমন চীনের হার্বাল মেডিসিন থেকে আর্টেমিসিনিন এসেছিল। আর আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব যেমন ভারতের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক, আমেরিকা ও ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল হেলথ এনজিওর সঙ্গে কাজ যৌথভাবে কাজ করলে এ খাতটিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব খুব সহজেই। এছাড়া এখানে হাতের কাছেই রয়েছে খরচ-সাশ্রয়ী মডেল।

এ দেশের জেনেরিক শিল্পের সাফল্য প্রমাণ করে, নতুন প্রযুক্তিও সাশ্রয়ী হতে পারে।

তবে এ জন্য প্রয়োজন দরকারি নীতি সহায়তা ও  গবেষণার পরিবেশ তৈরি। আর সেক্ষেত্রে জরুরি হলো পর্যাপ্ত অর্থায়ন, নিয়মকানুন সহজীকরণ, শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়। অর্থায়নের প্রশ্নে আমার পরামর্শ হলো দেশে জরুরি ভিত্তিতে জাতীয় ওষুধ তহবিল তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ ও প্রবাসী বন্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপির ১ শতাংশ গবেষণা ও উন্নয়নে বরাদ্দ করতে হবে। ডব্লিটিও ট্রিপস মানের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে  মেধাস্বত্ব আইন সংস্কার দ্রুত করতে হবে। অন্যদিকে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথ পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করতে হবে। জিনোমিক্স এবং কম্পিউটেশনাল বায়োলজিতে উৎকর্ষ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত প্রাথমিক পর্যায়ের আবিষ্কারে বিনিয়োগ করা।

এছাড়াও আন্তর্জাতিক দাতা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো সংগঠনগুলোর অনুদান এবং কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি সমর্থন করা উচিত। নিয়মকানুন সহজ করা হলে ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য দ্রুত অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হবে। তবে ওষুধের গবেষণা উদ্ভাবন করলেই চলবে না। বরং এজন্য দরকার আন্তর্জাতিক মানের প্যাটেন্ট আইন, যা বিজ্ঞানী ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে গবেষণা সহায়ক পরিবেশে তৈরির জন্য জরুরি হলো শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত মান বৃদ্ধি করা। এ জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফার্মাসিউটিক্যাল ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পঠন-পাঠনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। বৃদ্ধি করতে হবে গবেষকদের জন্য বৃত্তির পরিমাণ। আর অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রশ্নে অগ্রাধিকার দিতে হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বায়োটেক পার্ক স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্ডাস্ট্রির মাঝে শেয়ার্ড ল্যাব তৈরির ওপর।

এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের জন্য দরকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। এজন্য  সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পকে একসাথে কাজ করতে হবে। আর সেক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতেতে অন্তত ১০ বছর মেয়াদি ‘জাতীয় ওষুধ উদ্ভাবন মিশন’ চালু করতে হবে। প্রথমিকভাবে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ডায়াবেটিস ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের মতো বিষয়ের ওপর মনোযোগ দেওয়া যেতে পারে। বাড়াতে হবে ‘ড্রাগস ফর নেগলেক্টেড ডিজিজেস ইনিশিয়েটিভ (উঘউর)’ বা গেটস ফাউন্ডেশনের মতো সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব। এছাড়া গবেষণায় বিনিয়োগকারী কোম্পানিকে কর ছাড় দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। আর সেক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকেই।

জেনেরিক শিল্পে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এখন সময় এসেছে নতুন ওষুধ উদ্ভাবনের। এতে দেশের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমবে, বিশ্বও উপকৃত হবে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আর সঠিক নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার বায়োমেডিক্যাল নেতা। ওষুধ উদ্ভাবনে বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের অংশীদার হতে পারে বাংলাদেশ। পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। নষ্ট করার সময় হাতে নেই।

লেখক: জনস্বাস্থ্য যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র লেকচারার, মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ফুলপুরে বাস-মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে নিহত ৫
ফুলপুরে বাস-মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে নিহত ৫
২৯ বছর বয়সে পার্মার কোচ হয়ে কুয়েস্তার ইতিহাস
২৯ বছর বয়সে পার্মার কোচ হয়ে কুয়েস্তার ইতিহাস
খালেদা জিয়ার সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
খালেদা জিয়ার সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
যশোরে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
যশোরে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
সর্বশেষসর্বাধিক