X
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

ফের পাহাড় ধস রাঙামাটিতে, নিহত অন্তত ১১

রাঙামাটি প্রতিনিধি
১২ জুন ২০১৮, ০৯:১৬আপডেট : ১২ জুন ২০১৮, ১৫:৪৭

নানিয়ারচরে পাহাড় ধস
পাহাড় ধসে শতাধিক মৃত্যুর এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের একই ঘটনা ঘটলো রাঙামাটিতে। জেলার নানিয়ারচর উপজেলার কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পাহাড় ধসের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ও সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নানিয়ারচরের বড়িঘাট ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের ধর্মচরণপাড়া, সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের বড়পুলপাড়া, হাতিমারা ও খিলাছড়িতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। টানা বৃষ্টিপাতের মধ্যে এসব স্থানে সোমবার দিনগত রাতে পাহাড় ধসে পড়ে। নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লা আল মামুন তালুকদার পাহাড় ধসের খবর নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বড়পুলপাড়ায় সুরেন্দ্র চাকমা (৫৫), রাজদেবী চাকমা (৫০), সোনালী চাকমা (১৪), রমেল চাকমা (১৪) এবং ধর্মচরণপাড়ায় ফুলদেবী চাকমা (৫৫), ইতি দেওয়ান (১৯), স্মৃতি চাকমা (২৩), অমর দেওয়ান (দেড় মাস) নিহত হয়েছেন। হাতিমারায় রিপোল চাকমা (১৪), রীতা চাকমা (৮) এবং খিলাছড়িতে বৃষকেতু চাকমার (৬০) মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

নানিয়ারচর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোয়ালিটি চাকমা জানিয়েছেন, হাতিমারায় বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পাহাড় ধসের ঘটনা বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘটেছে। এ কারণে এখনই হতাহতের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।’

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেছেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের স্বজনদের ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের লোকজন দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এখনও যারা আছেন তাদের পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। প্রচুর ত্রাণ মজুদ আছে এবং প্রতিটি উপজেলায় ত্রাণ রয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও পাঠানো হবে। আমরা পরিস্থিতির সার্বিক খোঁজ রাখছি।’

এদিকে রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারভার কেচিমং মারমা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, সোমবার (১১ জুন) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১২ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রবল বর্ষণের পর গত বছর ১৩ জুন থেকে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ সেনা সদস্যসহ অন্তত ১২০ জন মারা যান। আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। ব্যাপক ক্ষতি হয় পুরো জেলায়। তিন মাস আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে হয় প্রায় তিন হাজার মানুষকে। কাছাকাছি সময়ে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারেও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে এবং প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতি হয়।

আরও পড়ুন- 

রাঙামাটিতে ভারি বর্ষণ, ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে প্রশাসন   

রাঙামা‌টি-বান্দরবান সড়ক যোগা‌যোগ বন্ধ

/এফএস/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১১ মাসেও ট্রমামুক্ত হতে পারেনি পুলিশ
১১ মাসেও ট্রমামুক্ত হতে পারেনি পুলিশ
অনলাইনে ভাতা কার্ড করা নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত 
অনলাইনে ভাতা কার্ড করা নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত 
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ২ বছরের জন্য পিছিয়ে গেছে: পেন্টাগন
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ২ বছরের জন্য পিছিয়ে গেছে: পেন্টাগন
ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির বৈঠক
ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির বৈঠক
সর্বাধিক পঠিত
নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
সংযুক্ত কর্মচারী প‌রিষ‌দের জরু‌রি সভানবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল
‘দেশের ৩২টি বিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে’
‘দেশের ৩২টি বিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে’