X
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
১০ ডিসেম্বর ২০১৫, ১০:৫৭আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০১:৫২

muktijuddho আজ  ১০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করেছিলেন ময়মনসিংহ জেলা। সেই স্মৃতি আজও  অম্লান ইতিহাসের পাতায়।
দেশ স্বাধীন করার দৃঢ় প্রত্যয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া ১১ নম্বর সেক্টরের এফজে মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনী যৌথভাবে ময়মনসিংহ অঞ্চলে অবস্থানরত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর যুদ্ধের পরিকল্পনা  করে। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ওই দিনই ক্যাপ্টেন বালজিৎ সিংয়ের অধীনে বেশ কয়েকটি মুক্তিবাহিনীর কোম্পানি জেলার সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট দিয়ে যুদ্ধ শুরু করে। সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর একের পর এক আক্রমণের পাশাপাশি আকাশ যুদ্ধের মাধ্যমে শত্রু পক্ষের বাংকারগুলো লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায়। এতে হানাদার বাহিনী পিছু হঠতে শুরু করে।
পরদিন ৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে ভারতীয় সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট শত্রুমুক্ত করে। এতে হানাদার বাহিনী আরও পিছু হটে পাশ্ববর্তী ফুলপুর, তারাকান্দা ও ময়মনসিংহ সদরের শম্ভুগঞ্জ এসে জড়ো হতে শুরু করে।
তারা যুদ্ধের কৌশল হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা স্থল পথে যাতে তাদের কাছে না আসতে পারে সেজন্য ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের ব্রিজ ও কালভার্টগুলোতে মাইন পুঁতে রাখে। কিন্তু তাদের এমন রণকৌশল সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা অতি সাবধানতা অবলম্বন করে স্থল পথে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আস্তানার দিকে এগুতে শুরু করে এবং অত্যন্ত সফলভাবে তাদের ওপর আঘাত হানতে সক্ষম হন।

পরিস্থিতে সামাল দিতে না পেরে ৯ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পর্যায়ক্রমে ফুলপুর, তারাকান্দা, শম্ভুগঞ্জ ও ময়মনসিংহ শহর ছেড়ে টাঙ্গাইল জেলার ভেতর দিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যেতে শুরু করে। আর পালিয়ে যাওয়ার সময় শম্ভুগঞ্জ ব্রিজটি ধ্বংস করে দিয়ে যায়।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১০ ডিসেম্বর ভোর রাতের মধ্যে তাদের সর্বস্ব নিয়ে ময়মনসিংহ শহর থেকে পালিয়ে যায়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মুক্তিকামী শহরবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করে। সর্বস্তরের জনতা মুক্তির আনন্দ মিছিল নিয়ে একযোগে স্থানীয় সার্কিট হাউজ মাঠে জড়ো হতে থাকে। সেখানেই ওড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় লাল-সবুজ পতাকা।

/এআর/এফএস/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশে যাত্রা শুরু, আজ থেকে অর্ডার নিচ্ছে স্টারলিংক
বাংলাদেশে যাত্রা শুরু, আজ থেকে অর্ডার নিচ্ছে স্টারলিংক
স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী
স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী
ত্বকের যত্নে চন্দন ব্যবহারের ৫ উপায় জেনে নিন
ত্বকের যত্নে চন্দন ব্যবহারের ৫ উপায় জেনে নিন
রাজধানীতে প্রকাশ্যে যুবককে কোপানোর ভিডিও ভাইরাল
রাজধানীতে প্রকাশ্যে যুবককে কোপানোর ভিডিও ভাইরাল
সর্বাধিক পঠিত
ক্ষমা চাইলেন ইশরাক
ক্ষমা চাইলেন ইশরাক
বিনা টিকিটে বিমানে ওঠার চেষ্টা, শাহজালালে তোলপাড়
বিনা টিকিটে বিমানে ওঠার চেষ্টা, শাহজালালে তোলপাড়
টিসিবির ডিলার নিয়োগের নীতিমালা চূড়ান্ত
টিসিবির ডিলার নিয়োগের নীতিমালা চূড়ান্ত
‘হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে কুমিল্লায় আসতে দেওয়া হবে না’
‘হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে কুমিল্লায় আসতে দেওয়া হবে না’
সরকারি হাসপাতাল পরিচ্ছন্নের কাজ বেসরকারি খাতে দেওয়ার পরিকল্পনা 
সরকারি হাসপাতাল পরিচ্ছন্নের কাজ বেসরকারি খাতে দেওয়ার পরিকল্পনা