X
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
২৩ আষাঢ় ১৪৩২

কিস্তি আদায় বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও মানা হচ্ছে না

হিলি প্রতিনিধি
০৫ জুন ২০২০, ২০:০৭আপডেট : ০৫ জুন ২০২০, ২০:০৭

হিলি

করোনাভাইরাসের কারণে সরকার জুন পর্যন্ত সব এনজিওর কিস্তি আদায় কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করলেও দিনাজপুরের হিলিতে সেই নির্দেশনা অমান্য করে কিস্তি আদায় কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। এমনকি কিস্তি আদায়ের জন্য গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে বসে থাকা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগও পাওয়া গেছে। এদিকে আয় উপার্জন ও ব্যবসা না থাকায় কিস্তি দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

হাকিমপুর (হিলি) উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫-২০টির মতো বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম চালমান।

হিলি বাজারের খাদ্যগুদাম মোড়ের চা বিক্রেতা খাদেমুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'বাজারে আমার একটি চায়ের দোকান রয়েছে, যেখানে আমি নিজেসহ আরও দুজন কাজ করি, সারাদিন যা চা বিক্রি হয় তাই দিয়ে কর্মচারীদের বেতন নিয়ে কোনরকমে আমাদের সংসার চলতো। করোনার কারণে ২৬ মার্চ থেকে দোকান বন্ধ। এদিকে ব্যবসার জন্য আমার মায়ের নামে গণউন্নয়ন কেন্দ্র নামের একটি এনজিও থেকে লোন নিয়েছিলাম। এনজিও কর্মীরা আমাদের বাড়িতে গিয়ে কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন।'

হিলি বাজারের জুতা ব্যবসায়ী নাহিদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'ব্যবসার জন্য স্থানীয় গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছিলাম, যা দিয়ে দোকানের মাল উঠিয়েছি। কিন্তু করোনার কারণে হিলিতে শুরু থেকেই সব ধরণের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। যার কারণে আমাদের কোনও ব্যবসা নেই। এমন অবস্থায় এনজিও থেকে ফোন দিয়ে কিস্তি দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে, তারা সময়ও দিতে চাচ্ছেন না।

হিলি বাজারের হোটেল শ্রমিক নাজমা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, স্থানীয় আশা নামের একটি এনজিও থেকে কিছু টাকা লোন নিয়ে টিন কিনে বাড়ি করেছিলাম। এখন সেই কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে, বাড়িতে পর্যন্ত আসছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক এনজিও ম্যানেজার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'আমরা আমাদের গ্রাহকদের বাড়িতে যাচ্ছি, তাদের সঙ্গে দেখা করে ভালো মন্দ খোঁজ খবর নিচ্ছি, এরপরে তাদের কিস্তি পরিশোধের জন্য বলছি। যদি কেউ কিস্তি দিতে রাজি বা আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে তারটা নেওয়া হচ্ছে। তবে কেউ যদি অপারগতা প্রকাশ করেন, সেক্ষেত্রে তার কিস্তি নেওয়া হচ্ছে না বা চাপপ্রয়োগ করা হচ্ছে না।'

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এনজিওগুলোর কিস্তি আদায় কার্যক্রম সরকার বন্ধ ঘোষণা করে, যা চলতি জুন মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এবিষয়ে উপজেলার সব এনজিওকে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। এর পরেও যদি কোন এনজিও তাদের কিস্তি আদায় কার্যক্রম অব্যাহত রাখে, আমরা যদি অভিযোগ পাই, তাহলে সেই এনজিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুষ্টিয়াসহ তিন জেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-মাথার খুলিসহ গ্রেফতার ৪
কুষ্টিয়াসহ তিন জেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-মাথার খুলিসহ গ্রেফতার ৪
শেখ হাসিনাকে ‘বাংলার ইয়াজিদ’ বললেন এনসিপি নেত্রী সামান্থা
শেখ হাসিনাকে ‘বাংলার ইয়াজিদ’ বললেন এনসিপি নেত্রী সামান্থা
মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দলকে ‘হাস্যকর’ বললেন ট্রাম্প
মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দলকে ‘হাস্যকর’ বললেন ট্রাম্প
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্বে ড্রাই ডক
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্বে ড্রাই ডক
সর্বাধিক পঠিত
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় আগুন, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় আগুন, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা
ফার্মেসিতে ওষুধের আড়ালে ‘ট্যাপেন্টাডল’ বিক্রির অভিযোগ, আটক ৫
ফার্মেসিতে ওষুধের আড়ালে ‘ট্যাপেন্টাডল’ বিক্রির অভিযোগ, আটক ৫
বিশেষ বিমানে গুজরাট থেকে দুই শতাধিক ‘বাংলাদেশি’কে সীমান্তে পাঠালো ভারত 
বিশেষ বিমানে গুজরাট থেকে দুই শতাধিক ‘বাংলাদেশি’কে সীমান্তে পাঠালো ভারত 
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে