খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৮০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঈদের দিন কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কারে কাজ করেছেন। ৯ ঘণ্টার মধ্যে তারা নগরীর সব বর্জ্য পরিষ্কার করেন। রাত ৮টার মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকা পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়।
ঈদের দিন সকাল ১১টা থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডের কেসিসি নির্ধারিত কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ শুরু করতে শুরু করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। দুপুর ২টা নাগাদ ওই বর্জ্য ওয়ার্ডের একটি নির্ধারিত স্থানে রাখা হয়। ওই স্থান থেকে দুপুর ২টার পর গার্বেজ বহনকারী ট্রাকে বর্জ্যগুলো সংগ্রহ করে কেসিসির ডাম্পিং পয়েন্ট রাজবাধে নিয়ে ফেলা হয়। এ কাজ রাত ৮টায় সম্পন্ন হয়।
কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আ. আজিজ বলেন, ‘ঈদের দিন সকাল ১১টা থেকে কর্মীরা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেন। দুই স্তরে ভিন্নভাবে কাজ করে রাত ৮টার মধ্যেই কর্মীরা শহরকে বর্জ্য মুক্ত পরিচ্ছন্ন করে তোলেন। গত বছরও ঈদের দিন রাত ৮টার মধ্যে নগরীর কোরবানির পশুর সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছিল। কেসিসির এ কাজে নিয়োজিত জনশক্তির মধ্যে ৭০০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী ও ১০০ জন ময়লা বহনকারীর গাড়ির চালক ছিলেন। গত বছর ওই সময়ের মধ্যে প্রায় ১৫ টন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ করা হয়। তবে এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কাজের ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। এর ফলে কাজে গতি ছিল৷ প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সচিব ও কনজারভেন্সী সুপারভাইজার স্ব স্ব ওয়ার্ডে এ বিষয়গুলো তদারকি করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সচেতনতার অভাবে কোরবানির সময় যেখানে-সেখানে পশু জবাই করে নগরীর পরিবেশ দুষণ করে। ফলে ঈদের নির্মল আনন্দ বাধাগ্রস্ত হয়। এ বিষয়টি রোধ করতে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য উদ্যোগ নেয় কেসিসি। এবার ৩১টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ১৪০টি স্থান নির্ধারিণ করা হয়। এই নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করার মাধ্যমে নগরী দুষণের হাত থেকে রক্ষা করা সহজ হয়। কারণ নির্ধারিত স্থানে কেসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকে। তারা পশু জবাইয়ের বর্জ্য সংগ্রহ করে নেন। এছাড়া ওয়ার্ডের নির্ধারিত স্থানের বাইরেও পশু জবাই হয়। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেখান থেকেও বর্জ্য সংগ্রহ করেন।’
কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর মতো এবারও কেসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঈদের দিন বর্জ্য সংগ্রহে মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। তারা নগরবাসীকে পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।’