X
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
২২ আষাঢ় ১৪৩২

যশোর আদ দ্বীনে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, স্বজনদের বিক্ষোভ

যশোর প্রতিনিধি
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:১৫আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:১৯

যশোরে আদ দ্বীন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে বিক্ষোভ।  
যশোর আদ দ্বীন সকিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় বৃষ্টি বেগম (২২) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সিজারিয়ান অপারেশনের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হলে স্বজনরা হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অবশ্য কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. শিলা পোদ্দার দাবি করছেন, রোগী শুরু থেকে গুরুতর ছিল। তারা বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন।

মৃত বৃষ্টির স্বামী ও স্বজনরা জানান, গতকাল সোমবার রাত আড়াইটার দিকে বৃষ্টিকে অসুস্থ অবস্থায় আদ দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতে নার্সরা তার চিকিৎসা দেয়। সকালে গাইনি বিশেষজ্ঞ শিলা পোদ্দার এসে নার্সদের বকা দেন এবং দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশনের তাগিদ দেন। এরপর সকালেই বৃষ্টির অপারেশন করে সন্তান ভূমিষ্ট হয়। সন্ধ্যার আগে জ্ঞান ফিরলে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে বৃষ্টি। এরপর ইনজেকশন দিয়ে বুকে একাধিক চাপ দিলেও বৃষ্টির মৃত্যু হয়।

স্বজনরা অভিযোগ করেন, বৃষ্টির মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৭০ হাজার টাকা বিল দাবি করেন। একইসাথে বাচ্চাকে বাঁচাতে ৯০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানায়। তারা এ অবহেলার জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের শাস্তি দাবি করেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. শিলা পোদ্দার বলেন, রোগী শুরু থেকে গুরুতর ছিল। আমরা বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। রোগীর ভর্তি ফি ছাড়া অন্য কোনও টাকা চাওয়া হয়নি।

এদিকে, বৃষ্টির মৃত্যুর পর তার স্বজনরা হাসপাতালে বিক্ষোভ করেন।  খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর শেখ তাসমীম আলমসহ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

ইন্সপেক্টর শেখ তাসমীম আলম বলেন, একজন প্রসূতির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। স্বজনদের দাবি, ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মৃত বৃষ্টি যশোর শহরের রেলগেট এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী। 

 

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘প্রত্যেক শিল্পীরই অভিনয়ে নিজেকে উন্নত করা জরুরি’
‘প্রত্যেক শিল্পীরই অভিনয়ে নিজেকে উন্নত করা জরুরি’
বিশেষ অভিযানে সারা দেশে গ্রেফতার ১৪৫৪
বিশেষ অভিযানে সারা দেশে গ্রেফতার ১৪৫৪
ট্রাম্পের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনালাপকে সবচেয়ে ফলপ্রসূ বললেন জেলেনস্কি
ট্রাম্পের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনালাপকে সবচেয়ে ফলপ্রসূ বললেন জেলেনস্কি
গ্লোবাল সুপার লিগে দুবাইয়ের সাকিব
গ্লোবাল সুপার লিগে দুবাইয়ের সাকিব
সর্বাধিক পঠিত
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
আসছে নতুন কারিকুলাম: ফ্রেমওয়ার্ক ডিসেম্বরে, ‘বড় পরিসরে’ থাকবে জুলাই
আসছে নতুন কারিকুলাম: ফ্রেমওয়ার্ক ডিসেম্বরে, ‘বড় পরিসরে’ থাকবে জুলাই
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল