বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পাকুরিতা গ্রামের এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর সিঁদুর পরিয়ে বিয়ের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্ত যুবক ও তার মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার দুই জন পাকুরিতা গ্রামের হরেন জয়ধরের ছেলে শুকদেব জয়ধর ও তার স্ত্রী মা গৌরী জয়ধর। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান। এদিকে দুপুরে নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরআগে, আদালতে ওই ছাত্রীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শাহজাহান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত যুবক ও তার মাকে গ্রেফতার করা হয়।
এজাহারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা গত ২৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। ১২ অক্টোবর ছাত্রীর মা ও ধর্ষণ মামলার বাদী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে দরজা খোলা মাত্রই ওঁৎ পেতে থাকা পাশের বাড়ির বখাটে শুকদেব জয়ধর ঘরে ঢুকে তার মেয়ের শ্লীলতাহানি করে। একপর্যায়ে ওই রাতে শুকদেব তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।পরে ধর্ষিতার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ধর্ষক শুকদেব দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে তার মেয়ে ধর্ষক শুকদেবকে বিয়ে করতে বললে তার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে বিয়ের নাটক সাজায়।
এদিকে মামলার অপর আসামি শুকদেবের বাবা ও মা সম্প্রতি তাদের ছেলে শুকদেবকে দ্রুত উজিরপুর উপজেলার কালবিলা গ্রামে বিয়ে করান। বিষয়টি জানতে পেরে কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিলে শুকদেব পালিয়ে যায়।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ও জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে পাঠানো হয়।