দেশে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পর টাকার বিপরীতে আবারও শক্তিশালী হলো মার্কিন ডলার। রবিবার (১৮ মে) আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের বিক্রয় মূল্য দাঁড়ায় ১২২ টাকা ৭৮ পয়সা, যা আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়সা বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, ১৪ মে থেকে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পর টাকার মান ধারাবাহিকভাবে কমছে। ওই দিন প্রতি ডলারের হার ছিল ১২২ টাকা। বেশির ভাগ ব্যাংক এখন আমদানিকারকদের কাছে ডলার বিক্রি করছে ১২২ টাকা ৭০ পয়সায়, আর রফতানিকারক ও মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর কাছ থেকে ডলার কিনছে ১২২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে। ব্যাংকগুলোর ওয়েবসাইট ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, প্রবাসী আয় ও রফতানি আয়ের গতি বাড়ায় বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে কোনও ব্যাংক যেন বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ১৪ মে বাংলাদেশ ব্যাংক এক নির্দেশনার মাধ্যমে ডলার ক্রয় ও বিক্রয়ের মধ্যে ১ টাকার ব্যবধানের সীমা তুলে নেয়। একই সঙ্গে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের একটি সার্কুলার পুনর্বহাল করা হয়, যাতে ব্যাংকগুলোকে গ্রাহক ও আন্তব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য স্বাধীনভাবে নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজার নির্ধারিত বিনিময় হার দীর্ঘমেয়াদে রফতানি ও প্রবাসী আয়ের প্রতিযোগিতা বাড়াতে সহায়তা করবে। তবে এর প্রাথমিক প্রভাব হিসেবে টাকার মান কিছুটা দুর্বল হওয়াই স্বাভাবিক। এই প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সুসংহত নীতি, প্রবাহিত রেমিট্যান্স এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকলে মুদ্রাবাজার দ্রুতই স্থিতিশীল হবে।