কক্সবাজারে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জনু) দুপুর ১২টার দিকে উখিয়া থানা পুলিশ ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে এই অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আরও খবর: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল
পলাতক ১৪ আসামি হলেন– উখিয়ার ক্যাম্প ১ ওয়েস্টের শরিফ হোসেনের ছেলে মাস্টার আব্দুর রহিম ওরফে রকিম (৩৫); ব্লক সি/১ ক্যাম্প-১ ওয়েস্টের আলী জোহারের ছেলে জাহিদ হোসেন ওরফে লালু (৩৫) ও তার ভাই ফয়েজ উল্লাহ (২৮); ব্লক জি/৭, ক্যাম্প-৭-এর সাবের আহমদের ছেলে ছমির উদ্দিন ওরফে ছমি উদ্দিন ওরফে নুর কামাল (৪০); ব্লক বি/৯, ক্যাম্প-১ ওয়েস্টের নুর মোহাম্মদের ছেলে সালেহ আহমদ (৩০); ব্লক ডি/৩, ক্যাম্প ১ ইস্টের নুর আলমের ছেলে মোজাম্মেল ওরফে লাল বদিয়া (২৫); ব্লক এফ, ক্যাম্প-১ ওয়েস্টের বদি আলমের ছেলে তোফাইল (২৮); ব্লক জি/৮, ক্যাম্প ১ ইস্টের সামসু আলমের ছেলে মাস্টার শফি আলম (৪০); ব্লক ডি/৮, ক্যাম্প ১ ইস্টের মোজাহার মিয়ার ছেলে আব্দুস সালাম ওরফে জাকের মুরব্বি (৫৫); ব্লক এ, ক্যাম্প-১ ওয়েস্টের জামাল হোসেনের ছেলে জকির (২৬); ব্লক ডি/৮, ক্যাম্প-১ ইস্টের মৃত মোহাম্মদ হাসানের ছেলে হাফেজ আয়াস (২৮); ব্লক ডি/৪, ক্যাম্প-১ ইস্টের রশিদ আহমদের ছেলে মাস্টার কাশিম (৩২); ব্লক সি/৪, ক্যাম্প ১ ইস্টের মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে মাস্টার শুক্কুর আলম (৩৩); ব্লক জি/২, ক্যাম্প ১ ইস্টের বদি আলমের ছেলে মোস্তফা কামাল (৩০)।
উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
ঘটনার পরদিন মুহিববুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান উখিয়া থানার ওসি তদন্ত সালাহ উদ্দিন। তদন্ত শেষে সোমবার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।