ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার চার দিন পর নয়নের বাবা রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে পুলিশ কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাসকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৪র্থ) আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
মামলায় বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমানসহ আট জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া আরও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ নভেম্বর কুমিল্লার মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চলছিল। সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হঠাৎ করে এলোপাতাড়ি হামলা করেন। এ সময় কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস কাছ থেকে সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়নের পেটে শটগানের গুলি করে। এতে নয়নের ভুড়ি ও পাকস্থলী বের হয়ে যায়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান নয়ন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মান্নান এবং অ্যাডভোকেট আরিফুল হক মাসুদ বলেন, ‘সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতে আমরা হত্যা মামলাটি দায়ের করেছি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে পরে আদেশ দেওয়া হবে বলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। থানা মামলা না নেওয়ায় বাদী আদালতের দারস্থ হয়েছেন। আমরা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।’
এদিকে, মামলা দায়ের করার পর মামলার বাদী নিহত ছাত্রদল নেতার বাবা রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ছেলে কোনও অন্যায় করেনি। তাকে কোনও কারণ ছাড়াই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’
মামলার শুনানি চলাকালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অর্ধশতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।