আমদানির খবরে দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাকতাই-খাতুনগঞ্জে কমে গেছে পেঁয়াজের দাম। মঙ্গলবার (৬ জুন) প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। অথচ আগের দিন প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। এদিকে, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ চট্টগ্রামে আসার পথে রয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই ছয়টি ট্রাক ৮৪ টন পেঁয়াজ নিয়ে প্রবেশ করবে খাতুনগঞ্জে। বুধবার থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ চট্টগ্রামের এই পাইকারি বাজারে বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খাতুনগঞ্জের এইচ এ ট্রেডার্সের মালিক দেলোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর থেকে খাতুনগঞ্জে প্রতিদিনই কমছে পেঁয়াজের দাম। মূলত আমদানির খবরে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা কমেছে। আজ প্রতি কেজি পেঁয়াজ মান ভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়। ভারতের পেঁয়াজ আসার পর দেশি পেঁয়াজের দাম আরও কমবে। তবে আমদানির অনুমতি আরও আগে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা পর্যন্ত যেত না।’
চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ছয়টি ট্রাকে চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাকে ১৪ টন করে পেঁয়াজ রয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিনই ভারতীয় পেঁয়াজ চট্টগ্রামে ঢুকবে। বুধবার থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ চট্টগ্রামে বিক্রি হবে। প্রথম দিন কেজি ৫০ টাকার মতো দাম হতে পারে। যখন বেশি ঢুকবে তখন আরও কমে আসবে।’
এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘আজ দেশি পেঁয়াজ তেমন খাতুনগঞ্জে বিক্রি হয়নি। ক্রেতারা অপেক্ষায় আছেন ভারতীয় পেঁয়াজের জন্য। চট্টগ্রামে এমনিতেই দেশি পেঁয়াজের চাহিদা কম। কেননা সেগুলো ছোট আকারের। এখানে বড় আকারের ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। ভারতের পেঁয়াজ আসার পর দেশি পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে।’
এদিকে, আজ খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নেমে এলেও এর প্রভাব তেমন পড়েনি খুচরো বাজারে। নগরীর আতুরার ডিপোতে খুচরা পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।