বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, যারা দেশের জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছিল, ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, তারা নাকি আবার ড. ইউনূসের পাশে বসে গুনগুন করছে নির্বাচন দেওয়া যাবে না। আমরা নির্বাচন চাই, কিন্তু জোর করে নির্বাচন আদায় করতে চাই না। জনগণ যদি মনে করে, নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে, তাহলে জনগণই রাস্তায় নামবে। আমাদের বলতে হবে না।
শুক্রবার (৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবিতে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘অনেক দিন হয়ে গেলো, অনেক কিছুই দেখলাম। তারপরও কেন এ অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের অধিকার, জনগণের আশা, নির্বাচনি রোড ম্যাপ ঘোষণা করছে না। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছিল। গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। সেই ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি ১৬-১৭ বছর আন্দোলন করেছে। বিএনপির প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা বিএনপি এবং অন্যান্য দলের অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। তাই আমরা দ্রুত নির্বাচনের কথা বলছি। যাতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, দেশের জনগণ ভোটার অধিকার ফিরে পায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার মতো জোর করে ক্ষমতায় যেতে চাই না। গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।’
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, যারা অবৈধ ক্ষমতার দখলকারীদের সাহায্য করেছিল তাদের ঘরে যদি পাসপোর্ট পৌঁছে দেন; তাহলে দেশের জনগণ মানবে না। তাই এই মুহূর্তে আপনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব.....সংস্কার তো হবে; আপনি নির্বাচনমুখী সংস্কারটা করেন। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেন।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।