গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আঘাত পেয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ওই শিশুর মা-বাবাসহ তিন জন। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে সালিশ বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুর নাম ফাতিহা (২)। সে ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তার ও কুলসুম আক্তার দম্পতির একমাত্র সন্তান।
শিশুর দাদা লিয়াকত আলী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিবেশী লাল মিয়ার সঙ্গে তাদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে গত ১০ বছর ধরে একটি মামলা চলমান রয়েছে। প্রতিপক্ষ এ নিয়ে আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে সালিশ বৈঠক ডাকে। কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মমিনুল কাদের ও আব্দুস সামাদ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে সালিশে কথা কাটাকাটি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষ লাল মিয়ার লোকজন আব্দুস সামাদ, স্ত্রী কুলসুম আক্তার ও শিশুকন্যা ফাতিহা ও প্রতিবেশী ইতির ওপর অতর্কিতে হামলা করে। তারা শিশুটির মাথায় একাধিক আঘাত করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শারমিন আক্তার বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘রেফার্ডের কিছু সময় পরই শিশুর মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের মধ্যে ফরহাদ, খোরশেদ, হুমায়ুন তোতাসহ বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’