কক্সবাজারে এনজিওতে চাকরির আড়ালে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগে এক যুবককে দেশে তৈরি দুটি বন্দুকসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
গ্রেফতার যুবক আরিফ উল্লাহ (২৫) মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। সে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের কর্মী হিসেবে উখিয়ার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার করা অস্ত্র দুটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিল আরিফ। এর আগেও সে বেশ কয়েকটি অস্ত্রের চালান রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে সরবরাহ করেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদী সংলগ্ন ৬ নম্বর জেটি ঘাট এলাকায় মহেশখালী থেকে নিয়ে আসা অস্ত্রের একটি চালান নিয়ে কিছু লোক অবস্থান করছে, এমন খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। সেখানে পৌঁছে পুলিশ সদস্যরা সন্দেহজনক এক যুবককে দেখতে পেয়ে ঘিরে ফেলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই যুবক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাকে ধাওয়া দিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে পাওয়া যায় দেশে তৈরি দুটি বন্দুক।
‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার যুবকের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। সে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকে চাকরির আড়ালে ক্যাম্পের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্রের চালান জোগান দিয়ে আসছিল। এর আগেও সে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে বেশ কয়েকটি অস্ত্রের চালান সরবরাহ করেছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় স্থাপিত কারখানায় তৈরি এসব অস্ত্র সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রির জন্য ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশকে তথ্য দিয়েছে ওই যুবক। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।