কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত পথে ভারতে অবস্থান করা ২১ জন রোহিঙ্গা ও ৯ জন বাংলাদেশিকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। মঙ্গলবার (৬ মে) গভীর রাতে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে তাদের পুশব্যাক করে বিএসএফ। পরে তাদের আটক করে বিজিবি ও রৌমারী থানা পুলিশ।
জামালপুর বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের রৌমারী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সোহেল রানা রোহিঙ্গাসহ ৩০ জন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রৌমারী বিজিবি ও সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, ভারতের আসাম রাজ্যের দক্ষিণ সালমারা মানকারচর জেলার শাহপাড়া বিএসএফ সদস্যরা মঙ্গলবার গভীর রাতে ২১ জন রোহিঙ্গাসহ ৩০ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশব্যাক করে। তাদের মধ্যে বিজিবির টহল দল ২৭ জনকে আটক করে। এ ছাড়াও রৌমারী থানা পুলিশ উপজেলার কর্তিমারী এলাকা থেকে তিন জনকে আটক করে।
আটককৃতদের বরাতে বিজিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আটক রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি নাগরিকরা ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারতের আসাম রাজ্যের গোহাটি লকড়া সেন্ট্রাল কারাগারে আটক ছিলেন। পরে তাদের আসাম রাজ্যের গোয়ালপাড়া মাটিয়াল ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক রেখে সমস্ত তথ্য প্রমাণ কেড়ে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার দক্ষিণ শালমারা মাইনকারচর শাহপাড়া বিএসএফ রাতের আঁধারে তাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করে।
জামালপুর বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমান বলেন, ‘আমরা আটককৃতদের পরিচয় ও অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। পরে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’
অন্যদিকে, জেলার ভূরুঙ্গামারীর ভাওয়ালকুড়ি সীমান্তপথে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা নারী ও শিশুসহ ১৪ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। তারা সবাই কক্সবাজার উখিয়া ক্যাম্প থেকে দালালদের সহায়তায় ভূরুঙ্গামারীর ভাওয়ালকুড়ি বাজারের কাছে জড়ো হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।
কুড়িগ্রাম বিজিবি ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব উল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তারা দালালের মাধ্যমে উখিয়া থেকে ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে এসেছে। তাদের উন্নত দেশে পাঠানোর কথা বলে দালালরা এখানে নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে। পরে তাদের ফেলে দালালরা পালিয়েছে।’