গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের একাংশ) আসনে এবারও নৌকা প্রতীকের পক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও এ আসন থেকে তিনি নির্বাচিত হন। একই দল থেকে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের আয় ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ গতবারের চেয়ে কমেছে। তিনি বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন থেকে আবাসিক ঋণ গ্রহণ করেছেন ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯২০ টাকার।
এবার কৃষি খাতে তার আয় এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত এবং ব্যাংক সুদ বাবদ আয় ১৮ হাজার ৯৯৮ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে সম্মানি ভাতা ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৮ টাকা। নগদ ক্যাশ রয়েছে ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১০০ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫০ টাকা।
আসবাবপত্র রয়েছে দেড় লাখ টাকার। সোনা সাত ভরি। তার ৬৯১ শতাংশ কৃষি জমি, ১০১ শতাংশ অকৃষি জমি, ১০ তলা ফাউন্ডেশনের দোতলা আবাসিক ভবন রয়েছে (মূল্য এক কোটি ৪৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ টাকা), এক হাজার ৫৬৮ বর্গফুটের একটি দোতলা ভবন রয়েছে, যার মূল্য ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৯৬০ বর্গফুটের আধাপাকা একটি টিনশেড বাড়ি রয়েছে, মূল্য দেখানো হয়েছে দেড় লাখ টাকা। ভাওয়াল প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে শেয়ার রয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার।
২৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮২ টাকা মন্ত্রীর বার্ষিক আয়। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে এক কোটি ২২ হাজার ৫৫০ টাকা আর স্থাবর সম্পত্তির হিসাব দেখিয়েছেন দুই কোটি ৫ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকা।
২০১৮ সালে নির্বাচনি হলফনামায় অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক উল্লেখ করেছিলেন, কৃষি খাতে আয় এক লাখ ৮৬ হাজার টাকা, ভাড়া বাবদ আয় ৩৬ হাজার টাকা, পোলট্রি থেকে আয় ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, পারিতোষিক ও ভাতাদি থেকে আয় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা, নগদ টাকা ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩১। ব্যাংকে জমা ছিল ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩ টাকা। স্ত্রীর ছিল সাত লাখ ৩৬ হাজার ৯০৪ টাকা।
সে সময় নিজের ও স্ত্রীর নামে ছিল ২২ তোলা সোনা। তিনটি গাড়ির মূল্য দেখানো হয় যথাক্রমে ৯২ লাখ ৫০ হাজার, ৭৩ লাখ ৫০ হাজার এবং ৪২ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে কৃষি জমি ছিল ৩৫ শতাংশ এবং অকৃষি জমি ১৪ শতাংশ। নিজ নামে ৬৯১ শতাংশ কৃষি জমি, ১০১ শতাংশ অকৃষি জমি এবং ৯৬০ বর্গফুটের একটি আধাপাকা টিনশেড বাড়ি। এক হাজার ৫৬৮ বর্গফুটের দোতলা ভবনের মূল্য দেখানো হয় ৪০ লাখ টাকা।
২০১৮ সালে মন্ত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫৮০ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ছিল দুই কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১০৪ টাকার। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজের ও স্ত্রীর নামে কৃষি ও অকৃষি জমির মূল্য না দেখালেও তখন একটি এক হাজার ৫৬৮ বর্গফুটের দোতলা ভবনের মূল্য দেখানো হয় ৪০ লাখ টাকা। আর ৯৬০ বর্গফুটের একটি টিনশেডের মূল্য দেড় লাখ টাকা উল্লেখ করেন তিনি।