কুমিল্লার মেঘনার চালিভাঙ্গায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ছয় জন। এ ঘটনায় চালিভাঙা ইউনিয়নজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক মো. কামরুল চালিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে।
এ ঘটনায় আহত ছয় জন হলেন– চালিভাঙ্গা এলাকার মো. দাইয়ান, মো. কাদির হোসেন (মেম্বার), মো. সোহেল, মো. কাউসার ও মুরাদ হোসেন। তারা সবাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
জানা গেছে, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির এবং জেলা পরিষদ সদস্য জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের দুটি গ্রুপ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্বে জড়িত। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চেয়ারম্যানের ভাই নিজাম সরকার (৪০) নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে কাইয়ুম গ্রুপের সব নেতাকর্মী এলাকা থেকে পালিয়ে যায়৷ রবিবার পুলিশের একটি ক্যাম্প করা হয় চালিভাঙ্গায়। পরদিন সোমবার সবাই বাড়িতে ফিরতে থাকে। দুপুর ১২টার পর বাগবাজার নদীর ঘাটে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় কামরুল।
চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তারা আমার ভাইকে মেরেছে। আজ আবার এলাকায় ঢোকার সময় তাদের প্রতিহত করে গ্রামবাসী। এতে নিরীহ কামরুল ছেলেটা আহত হয়। পরে কাইয়ুম গ্রুপের লোকজন তাকে পিটিয়ে মেরেছে। আমাদের লোক জড়িত নয়৷’
জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেন বলেন, ‘লোকজন ভয়ে ছিল। এলাকায় আসতে পারছিল না। পুলিশ ক্যাম্প দেওয়ার পর আজ এলাকায় ঢুকছিল। পথে বাগবাজার নদীর ঘাটে আমিসহ তাদের এলাকায় নিরাপদে পৌঁছে দিতে আসলাম। কিন্তু চেয়ারম্যানের ভাইসহ তাদের গ্রুপের লোকজনের হামলায় কামরুল মারা গেছে। আরও ছয় জনের অবস্থা খারাপ। তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আছে।’
মেঘনার থানার ওসি বলেন, ‘একজন নিহতের খবর সঠিক। আগের একটি মার্ডারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকের ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’