চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিন কোটি ২১ লাখ টাকার সড়কের উন্নয়ন কাজে ৬১ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ওএসডি হয়েছেন দুই প্রকৌশলী।
বুধবার (১২ জুন) চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন– চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রিফাতুল করিম চৌধুরী এবং উপসহকারী প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন।
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রিফাতুল করিম চৌধুরী এবং উপসহকারী প্রকৌশলী জয়নাল আবেদিনকে তাদের বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রধান কার্যালয়ে সচিবালয় বিভাগে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে ন্যস্ত করা হলো।’
চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন স্বাক্ষরিত অপর একটি অফিস আদেশে বলা হয়, ১১ জুন একটি পত্রিকায় প্রকাশিত ‘৩ কোটি ২১ লাখের কাজে ঘুষেই ব্যয় ৬১ লাখ টাকা’ শিরোনামের প্রতিবেদনের বিষয়ে জরুরি তদন্ত করার কমিটি গঠন করা হলো। তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার শতিফুল হক কাজমীকে। এ কমিটির সদস্য আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন এবং সদস্যসচিব আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাম প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘একটি উন্নয়ন কাজে ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে অভিযোগ এলে কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে ওএসডি করেছে। পাশাপাশি এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’