আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে রায়পুরের খাসেরহাট এলাকায় বিএনপির দু পক্ষের সংঘর্ষে দলীয় কর্মী সাইজ উদ্দিন নিহতের ঘটনার তিন দিন পর রায়পুর থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে নিহতের ভাই হানিফ দেওয়ান বাদী হয়ে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফারুক কবিরাজকে প্রধান আসামি করে এ মামলা করেন। মামলায় ফারুকের ছোট ভাই মেহেদী কবিরাজসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, সাইজ উদ্দিন হত্যা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
তবে মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হতে চললেও দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।
এদিকে, উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব শামীম গাজী, ২ নম্বর চরবংশী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মানিক আহমদ তারেকসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সালেহ আহমদ ও সদস্যসচিব শফিকুর রহমান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘চরবংশীতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সাইজের উদ্দিনের মৃত্যু, বাড়িঘর ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতাকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূইঁয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
সোমবার বিএনপির দুই পক্ষের এ সংঘর্ষের ঘটনায় ইউনিয়েন যুবদলের সাবেক সহসভাপতি সাইজুদ্দিন নিহতসহ কমপক্ষে ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ওইদিন বিকালে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মধ্য চরবংশী বেড়িবাঁধ ও খাসেরহাট বাজারে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর চরবংশী গ্রামের ৮টি বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।