গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হক জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
জিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনার পর থেকেই পুলিশের একাধিক দল হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রাতে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিনকে বাসন এলাকা থেকে এবং শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ ওরফে দিপুকে কাশিমপুর থানা আটক করা হয়। গ্রেফতার সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।’
গাজীপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির মুখপাত্র বশির আহমেদ অপু জানান, রবিবার রাতে হাসনাত আব্দুল্লাহ গাজীপুর থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। পথে তার গাড়ি গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার ভোগড়া বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে ১০-১২টি মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ আহত হন।
এনসিপির গাজীপুরের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘এই বর্বর হামলা আওয়ামী লীগের মদতপুষ্ট। আমরা মনে করি, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এতে জড়িত। রাষ্ট্র যদি হামলাকারীদের আড়াল করে, তাহলে রাজপথেই তার জবাব দেওয়া হবে।’
এনসিপির নেতৃবৃন্দ জানান, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সালনা এলাকা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ সময় তার সঙ্গে গাড়িতে আরও দুজন আরোহী ছিলেন। ঘটনার সময় দুর্বৃত্তরা কয়েকটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে এসে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার গাড়ির গতিরোধ করে ইট-পাটকেল ছুড়ে গাড়ির কাচ ভাঙচুর করে এবং তার ওপর চড়াও হয়। এতে হাসনাত আব্দুল্লাহর ডান হাতে রক্তাক্ত জখম হয়।